|
|
|
|
ইস্তফা আরও দুই পঞ্চায়েত সদস্যের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন। এ বার ইস্তফা দিলেন ওই পঞ্চায়েতের সিপিএমেরই দুই সদস্য। এর ফলে দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েতের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে জ্বল্পনা তৈরি হয়েছে।
দিন কয়েক আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান নাথুরাম ডোম। আগামী সোমবার ওই পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনের দিন স্থির হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার সিপিএমের গুলেন্থা বিবি ও বিদ্যুৎ মণ্ডল পঞ্চায়েত সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। বিডিও গোবিন্দ দত্ত বলেন, “গণতান্ত্রিক পরিবেশ ক্ষুন্ন হওয়ার অভিযোগ জানিয়ে ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্য ইস্তফা দিয়েছেন।” ধ-গ্রাম সংসদের গুলেন্থা বিবির বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ভাটগ্রাম সংসদের বিদ্যুৎবাবুর অভিযোগ, “তৃণমূলের লোকজনের হুমকিতে বাধ্য হয়ে ইস্তফা দিয়েছি।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অরুণ মিত্রেরও অভিযোগ, “তৃণমূলের সন্ত্রাসে আমাদের দলের জনপ্রতিনিধিরা কাজ করতে বাধা পাচ্ছেন। তাই পদ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।” তাঁর দাবি, “পঞ্চায়েত প্রধানও একই কারণে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শানো আসল ঘটনা নয়।” অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুভাষ ভাড়ারীর দাবি, “সন্ত্রাসের অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রধানের বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাই তিনি সরে গেলেন।” যদিও নাথুরামবাবু আগেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
এখন সোমবার প্রধান নির্বাচন নিয়ে কী হয়, তার দিকেই সবার নজর। কারণ ১৩ আসনের এই পঞ্চায়েতে ৮টি সিপিএমের ও একটিতে ফরওয়ার্ড ব্লকের সদস্য ছিলেন। বিপক্ষে ১টি করে আসন পেয়েছিল কংগ্রেস এবং পিডিসিআই। দু’টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। প্রধান-সহ সিপিএমের তিন জন ইস্তফা দিয়েছেন। তৃণমূলের দাবি আরও এক বাম সদস্য সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। প্রধান নির্বাচনের দিন উভয় পক্ষে পাঁচ জন করে সদস্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই পঞ্চায়েতের রাজনৈতিক সমীকরণ সোমবারের পরে কী হয়, তা নিয়ে অনেকেই কৌতূহলী। |
|
|
|
|
|