|
|
|
|
বিশ্রামাগার, জলের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
উত্তর দিনাজপুর জেলা গঠনের দু’দশক পরে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে বিশ্রামাগার গড়ে না ওঠায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। রোগীর পরিবারের লোক দিনভর প্রখর রোগে ঘুরে হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। রয়েছে জলের সমস্যা। অনেকে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, “হাসপাতাল চত্বরে একটি বিশ্রামাগার তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে জলের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।” সহকারী সুপার গৌতম দাস বলেন, “রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতাল চত্বরে রোগীর পরিবারের লোকজনের জন্য একটি বিশ্রামাগার তৈরির জন্য সম্প্রতি সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে। জলের সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা হয়েছে।” ১৯৯২ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ভাগ হয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা হয়। তৎকালীন মহকুমা হাসপাতালটিকে জেলা হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। |
|
ছবি: তরুণ দেবনাথ |
৩০০ শয্যার হাসপাতালে উত্তর দিনাজপুর জেলা ছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ ও বিহারের প্রচুর রোগী ভিড় করেন। বিশ্রামাগার না থাকায় রোগীর বাড়ির লোক গাছতলায়, জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, ব্লাডব্যাঙ্ক ও সুপারের অফিসের সামনে খোলা আকাশের নীচে দিনভর বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। হাসপাতাল চত্বরের চা ও পান দোকানের সামনে বসে অনেকে বিশ্রাম করেন। রোদের তাপে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সন্ধ্যার পরে ভয়ে সময় কাটে তাঁদের। অভিযোগ উঠেছে, রাতের অন্ধকারে হাসপাতাল চত্বরে দুষ্কৃতীরা মদ ও জুয়ার আসর বসায়। মাঝেমধ্যে চুরির ঘটনাও ঘটছে। ছিনতাই হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতাল চত্বরে পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য তিনটি নলকূপ থাকলেও গরমে জলস্তর নেমে যাওয়ায় দুটি বিকল। যন্ত্রাংশও চুরি হয়েছে। বাধ্য হয়ে লোক জল কিনে ব্যবহার করছেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের বাসিন্দা বিকু হাঁসদা পেটব্যথা নিয়ে মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি। তাঁর আত্মীয় সোম হাঁসদা বলেন, “হাসপাতালে বিশ্রামের জায়গা নেই। গত দু’দিন থেকে রোদে খোলা আকাশের নীচে বসে বিশ্রাম করতে বাধ্য হচ্ছি। রাতে জরুরি বিভাগের সামনে শুয়ে থাকি। কিনে জল খাচ্ছি।” রায়গঞ্জ শ্যামপুর এলাকার বাসিন্দা রমিজ শেখ বলেন, “আচমকা পেট ফুলে যাওয়ায় কয়েক দিন আমার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বিশ্রামাগার না-থাকায় রোদে পুড়তে হচ্ছে।” সহকারী সুপার জানান, সন্ধ্যার পরে হাসপাতাল চত্বরে অসামাজিক কাজ রুখতে পুলিশকে নজরদারির জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|