|
|
|
|
বৈঠকের পর জানালেন কাউন্সিলর |
দলীয় নির্দেশে ইস্তফা প্রত্যাহার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
মেয়র পারিষদের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে আবেদন করলেও দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে তা প্রত্যাহার করবেন তৃণমূল কাউন্সিলর অরিন্দম মিত্র। বুধবার শিলিগুড়িতে দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন অরিন্দমবাবু। তবে জল সরবরাহ-সহ আরও ২টি বিভাগের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অন্য আরও যে ৩টি বিভাগের দায়িত্ব তাঁর উপর ছিল তা থাকছে। জল সরবরাহ-সহ বাকি দু’টি দফতর কাকে দেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে অবশ্য এ দিন কিছু জানানি গৌতমবাবু।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, অরিন্দমবাবু মেয়র পারিষদের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে মেয়রের কাছে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। সে সময় তিনি বাইরেছিলেন। সম্প্রতি ঝড়ে হাইটেনশন পোল উল্টে ফুলবাড়ি ট্রিটমেন্টে প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়েছে। শহরে জল সরবরাহ প্রায় ২দিন বন্ধ হয়ে যায়। গৌতমবাবু বলেন, “সে সময় জল সরবরাহ নিয়ে কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তবে পুরসভা, জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে দ্রুত জল সরবরাহ স্বাভাবিক করেছেন। অরিন্দমবাবুর কাজ নিয়ে দলের কাউন্সিলররা কেউ অসন্তোষ প্রকাশ করেননি। এক সঙ্গে ৬টি বিভাগ তাঁকে দেখতে হওয়ায় কিছুটা চাপ হচ্ছিল। সে জন্য তাঁর কাছ থেকে জল সরবরাহ, ক্রীড়া এবং ‘ভেইকেল’ বিভাগের দায়িত্ব দলের অন্য মেয়র পারিষদদের দেওয়া আবেদন মেয়রের কাছে জানানো হবে। বিদ্যুৎ, পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন, সেল্ফ এমপ্লয়মেন্ট বিভাগের দায়িত্বে অরিন্দমবাবুই থাকবেন। ইস্তফাপত্র নিয়মমাফিক তিনি প্রত্যাহার করবেন।”
অরিন্দমবাবু জানান, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এ দিন বিষয়টি নিয়ে দলেরই কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক ছিলেন। অরিন্দমবাবু বলেন, “শীর্ষ নেতৃত্বের অনুরোধে মেয়র পারিষদের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার আবেদন প্রত্যাহার করব। বৃহস্পতিবারই মেয়রকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেব।”
গত সোমবার মেয়রের কাছে ইস্তফা চেয়ে আবেদন করেন অরিন্দমবাবু। তিনি জানিয়েছিলেন, দলেরই কাউন্সিলরদের একাংশ তাঁর কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বলে তিনি খবর পান। তা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকেও জানান। তবে নেতৃত্বের তরফে কোনও সদুত্তর না মেলায় তিনি মেয়র পারিষদের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা চেয়ে চিঠি দেন। ‘রিসিভ অ্যান্ড ডেসপ্যাচ’ বিভাগে দেওয়া সেই চিঠি বুধবার হাতে পেয়েছেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। তবে অরিন্দমবাবুর ইস্তফার আবেদন গ্রহণ করার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|