কেন্দ্রের টাকাতেই সড়ক সংস্কার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের ১১টি জেলায় সাড়ে চার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা মেরামত ও সম্প্রসারণের কাজে হাত দিচ্ছে সরকার। বিভিন্ন রাজ্যকে অনগ্রসর এলাকা উন্নয়ন খাতে কেন্দ্রীয় সরকার যে-টাকা দেয়, এ রাজ্যের রাস্তা মেরামত ও সম্প্রসারণের কাজ হবে সেই অর্থেই। কেন্দ্রীয় খাতে রাস্তা ছাড়া বেশ কয়েকটি সেতু নির্মাণ এবং মেরামতির কাজও হবে। সব মিলিয়ে খরচ হবে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা।
বুধবার মহাকরণে রাজ্য সড়ক উন্নয়ন নিগমের এক বৈঠকে রাস্তা ও সেতু সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তৃণমূল সাংসদ সুব্রত বক্সী। তিনি ওই নিগমের চেয়ারম্যান এবং রাজ্যের পূর্ত দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী। রাজ্যের পূর্ত (সড়ক) দফতরের কাজের বোঝা কমাতে সম্প্রতি ওই নিগম তৈরি করেছে নতুন সরকার। রাজ্য সড়কগুলির হাল ফেরাতে নিগমের কর্তারা একটি কমিটিও তৈরি করেছেন। এ দিন নিগমের কর্মসমিতির বৈঠক ছিল। বৈঠকে চেয়ারম্যান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষ। ওই কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে সমরবাবুকে।
পশ্চিমবঙ্গে ১৯টি রাজ্য সড়ক রয়েছে বলে জানান নিগমের চেয়ারম্যান। রাজ্য সড়কগুলির দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। প্রথম পর্যায়ে ১১টি রাজ্য সড়কের পুনর্গঠন, সম্প্রসারণ এবং বেশ কয়েকটি সেতু তৈরি হবে। রাস্তা সারাই ও সম্প্রসারণের জন্য জেলা-পিছু ১০০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। বাকি টাকা খরচ হবে ১১টি জেলার বিভিন্ন সেতু নির্মাণ বা মেরামতির কাজে। নিগমের এক কর্তা জানান, রাজ্য সড়ক ছাড়াও অনুন্নত জেলাগুলির প্রধান রাস্তা এবং অন্যান্য রাস্তা সারানোর কাজ হবে কেন্দ্রের দেওয়া টাকায়। তবে এখন অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সড়ক এবং সেতুগুলিকে।
নিগমের চেয়ারম্যান জানান, রাজ্য সড়ক উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হয়েছেন সুব্রত গুপ্ত। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। আরও ১০ জন ডিরেক্টর নিযুক্ত হয়েছেন। পূর্ত, অর্থ, শিল্প-বাণিজ্য, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, বিদ্যুৎ দফতরের সচিবেরা ১০ জনের মধ্যে আছেন। পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (রাস্তা) নিগমের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হয়েছেন।
রাস্তার দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছিল।
সেই প্রসঙ্গ উঠলে রাজ্য সড়ক উন্নয়ন নিগমের এক ডিরেক্টর জানান, রাজ্য সড়কগুলি সম্প্রসারণ এবং মেরামতির পরে সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। |