বর্ষপূর্তির পুস্তিকা পিছোল বামফ্রন্ট |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বর্ষপূর্তিতে বামফ্রন্টের ‘পাল্টা পুস্তিকা’র প্রকাশ পিছিয়ে দেওয়া হল। আগে ঠিক ছিল, ওই পুস্তিকা চলতি মাসেই প্রকাশিত হবে। বুধবার বামফ্রন্টের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই পুস্তিকা বেরোবে জুন মাসে। রাজ্য সরকার তাদের ‘সাফল্য’ নিয়ে কী পুস্তিকা প্রকাশ করে, তা দেখে নিয়েই ‘পাল্টা পুস্তিকা’ বার করবে বামফ্রন্ট। পরে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “রাজ্য সরকার কী করে, তা দেখেই আমরা পুস্তিকা প্রকাশ করব।” আগে ঠিক ছিল, ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পরে সেই সরকারের প্রথম বছরের কাজের মূল্যায়ন এবং তৃণমূল জোট সরকারের এক বছরের কাজের মূল্যায়ন নিয়ে ‘তুলনামূলক’ আলোচনা করে পুস্তিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু পরে একাধিক বাম নেতা বলেন, রাজ্য সরকার তাদের এক বছরের কাজের ‘সাফল্য’ বলে যা তুলে ধরবে, তার মধ্যে বেশ কিছু কাজের সিংহভাগ বাম আমলেই হয়ে গিয়েছিল। কেবল তাই নয়, সাফল্যের খতিয়ান হিসাবে সরকারি ভাবে যে তথ্য তুলে ধরা হবে, তার মধ্যেও কিছু ‘বিভ্রান্তি’ থাকতে পারে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের পুস্তিকার ‘ভুল-ত্রুটি’ তুলে ধরে পাল্টা পুস্তিকা তৈরি করাই শ্রেয়। সেই প্রস্তাব ফ্রন্টে গৃহীত হয়েছে। পুস্তিকায় বামফ্রন্টের প্রথম বছরের কাজের কথাও থাকবে।
|
আগুনে আটকালে বাঁচাবে নয়া ভ্যান |
আগুনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কেউ আটকে থাকলে তাঁকে উদ্ধারের জন্য অত্যাধুনিক তিনটি ‘রেসকিউ ভ্যান’ বা উদ্ধার-ভ্যান কিনেছে দমকল বিভাগ। দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান বুধবার মহাকরণে এ কথা জানান। ওই অত্যাধুনিক ভ্যানে রয়েছে অত্যাধুনিক ‘সেন্সার’। অগ্নিকাণ্ডের পরে আগুন বা ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকে গেলে ওই সেন্সারে ধরা পড়বে। ওই ভ্যানেই আছে ৪০ ফুটের মই। কেনা হচ্ছে কয়েকটি ছোট উদ্ধার-ভ্যানও। সরু গলিতে আগুন লাগলে বড় গাড়ি ঢুকতে পারে না। সেখানে ছোট ভ্যান কাজে লাগবে। মন্ত্রী জানান, উদ্ধার-ভ্যান ছাড়াও ৫০ কোটি টাকার আরও কিছু অত্যাধুনিক সরঞ্জাম কিনছে দমকল। কেনা হবে ১০০টি মোটরবাইক। সেগুলো রাখা হবে দমকলের বিভিন্ন দফতরে। কোনও জায়গায় আগুন লাগার খবর পেলে অফিসারেরা ওই মোটরবাইকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন। কেনা হবে ২৫ টন মালপত্র তোলার উপযোগী আধুনিক ক্রেন। আনা হচ্ছে অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্সও।
|
রামকৃষ্ণ মিশনে নতুন সাধারণ সম্পাদক |
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নতুন সাধারণ সম্পাদক হলেন স্বামী সুহিতানন্দ। গত পাঁচ বছর এই পদে ছিলেন স্বামী প্রভানন্দ। তিনি এখন সহ-অধ্যক্ষ হলেন। বেলুড় মঠ থেকে প্রচারিত এক প্রেস বিবৃতিতে বুধবার এই খবর দেওয়া হয়েছে। রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের পরিচালন ব্যবস্থায় সাধারণ সম্পাদক পদটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী সুহিতানন্দ এত দিন সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পনেরো বছর আগে অছি পরিষদের সদস্য হন। |