টুকরো খবর
বিষ্ণুপুরে রেললাইনে বধূর দেহ
ছবি: শুভ্র মিত্র
রেললাইনে মিলল এক বধূর দেহ। বুধবার সকালে বিষ্ণুপুর রেল ফটকের কাছে ডাউন মেন লাইনের মাঝে মুখ থুবড়ে পড়েছিল রূপা দাস (২৪) নামে ওই বধূর দেহ। মাথায় আঘাত ছাড়া কোনও ক্ষত দেখতে না পেয়ে বিষ্ণুপুর থানায় মেয়ের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত দাবি করেন রূপার বাবা দিলীপ দাস। বিষ্ণুপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রুদ্রকুলি এলাকার বাসিন্দা দিলীপবাবু পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে সঙ্গে তুঁতবাড়ি নিবাসী বিশ্বজিৎ দাসের বিয়ে হয় বছর তিনেক আগে। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানা ‘অছিলায়’ রূপার সঙ্গে ঝগড়া করতেন। দিলীপবাবুর অভিযোগ, “মঙ্গলবার রাতেও জামাই ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে ওর ঝগড়া হয়। তার পরেই শ্বশুরবাড়ি লাগোয়া রেললাইন থেকে মেয়ের দেহ মেলায় আমাদের সন্দেহ, ওকে মেরে এখানে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে।” শ্বশুরের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে এ দিন স্ত্রীর মৃতদেহের কাছে দাঁড়িয়ে পেশায় তাঁতশিল্পী বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “আমরা ভালবেসে বিয়ে করেছিলাম। ন’মাসের মেয়েও রয়েছে। মঙ্গলবার সামান্য ঝগড়া হয়েছিল ঠিকই। তার জন্য ও ট্রেনে মাথা দেবে ভাবতে পারছি না।” বিষ্ণুপুর স্টেশনের ডেপুটি ম্যানেজার দীপক দত্ত জানান, এ দিন সকালের আদ্রা-হাওড়া শিরোমণি প্যাসেঞ্জারের গার্ড সাড়ে ছ’টা নাগাদ পিয়ারডোবা স্টেশন থেকে ওই মহিলার দেহ পড়ে থাকার খবর দেন। বাঁকুড়ায় জিআরপি-কে খবর দিলে তারা দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি রেল পুলিশের আওতাধীন। তবে বধূর বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহের সুরতহাল হয়েছে।

ছাড়া পেলেন না বিধায়ক
তালড্যাংরার সিপিএম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্রকে বুধবার খাতড়া আদালতে তোলা হলেও তিনি ছাড়া পেলেন না। আদালত সূত্রের খবর, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেও ওই নির্দেশের ‘সার্টিফায়েড কপি’ খাতড়া আদালতে এখনও এসে পৌঁছয়নি। তাই এ দিন তাঁকে ছাড়া যায়নি। মনোরঞ্জনবাবুকে প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারের পরিবর্তে বাঁকুড়া সংশোধনাগারে রাখার জন্য এ দিন ফের আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী চঞ্চল রায়। ফের তা খারিজ করে আদালত। চঞ্চলবাবু ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম দ্যুতি রায়ের কাছে ওই আবেদন জানালে সরকারি কৌঁসুলি নারদ ভুঁইয়া তার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “উনি রাজনৈতিক বন্দি। বাঁকুড়া সংশোধনাগারে রাজনৈতিক বন্দিদের রাখার সে রকম ব্যবস্থা নেই।” এরপরে বিচারক মনোরঞ্জনবাবুকে আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলে রাখার এবং ১৪ মে ফের খাতড়া আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন। চঞ্চলবাবু বলেন, “আমার মক্কেল হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। দু’-একদিনের মধ্যে হাইকোর্টের ‘সার্টিফায়েড কপি’ এসে যাবে। তাই তাঁকে কাছাকাছি বাঁকুড়া সংশোধনাগারে রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম।” ২০১০ সালের ২৯ জুন তালড্যাংরা থানার রাজপুর গ্রামে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে নিহত হন প্রৌঢ় তৃণমূল কর্মী মদন খাঁ। ওই ঘটনায় সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনোরঞ্জন পাত্র-সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ছেলে ইসমাইল খা। হাইকোর্টে ও নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খাতড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওই সিপিএম বিধায়ক। তারপর থেকে মাঝে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে থাকা ছাড়া তিনি টানা জেল হাজতে রয়েছেন।

দুর্ঘটনায় মৃত তিন, জখম ১
দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় বাঁকুড়ার জয়পুর ও কোতুলপুরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে জয়পুর থানার তাঁতিপুকুরে, বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাস্তার উপরে একটি মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মোটরবাইক চালক সুমন্ত মুখোপাধ্যায়ের (২৮) মৃত্যু হয়। বীরভূমের রামপুরহাট থানার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি হেলমেট পরে ছিলেন না। একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার কেবল পাতার কাজে তিনি এখানে কর্মরত ছিলেন। এ দিন দুপুরে কোতুলপুর থানার মির্জাপুর গ্রামের কাছে একটি ট্রাক্টর সাইকেলে যাওয়া এক দম্পতিকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চন্দনা পালের (৪৫)। স্থানীয় কোলাবেড়িয়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। তাঁর স্বামী জগন্নাথ পালকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় গোগড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্ত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, চালক-সহ ট্রাক্টরটি আটক করা হয়েছে। অন্য দিকে, এ দিন পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে, রঘুনাথপুরের ঝাড়ুখামার মোড়ের কাছে দুর্ঘটনায় প্রদীপ বাউড়ি (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি রঘুনাথপুর থানার দুর্মুট গ্রামে। সকালে ঝাড়ুখামার থেকে বাজার সেরে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন প্রদীপ। সেই সময়ে বরাকর থেকে পুরুলিয়াগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁকে ধাক্কা মারে।

জল নিয়ে ক্ষোভ, পঞ্চায়েতে তালা
নিজস্ব চিত্র
এলাকার নলকূপ থেকে জল না পাওয়ার কথা পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এই অভিযোগে বুধবার জলের দাবিতে হুড়ার কলাবনি পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের ক্ষোভ, কয়েকদিন ধরেই তীব্র দাবদাহে এলাকায় পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। ধনঞ্জয় সার, সৌরভ সারদের অভিযোগ, “কলাবনির কালিন্দীপাড়া, কালীমেলা পাড়া ও পঞ্চায়েত অফিসের কাছে থাকা নলকূপগুলির অবস্থা খুব খারাপ। এক বালতি জল ভরতে অনেকক্ষণ সময় লাগছে।” তাঁদের অভিযোগ, নলকূপগুলি মেরামতির জন্য প্রধানকে লিখিত ভাবে জানিয়েও লাভ হয়নি। বারবার আশ্বাস দিয়েছে। একবার মিস্ত্রি এসে দেখে যায়। কিন্তু কাজ হয়নি। এ নিয়ে প্রধানের কাছে ক্ষোভ জানাতে গিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে তাঁকে দেখতে না পেয়ে বাসিন্দারা অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। এ দিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ প্রধানকে না পেয়ে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হলে দিনভর পঞ্চায়েতে কোনও কাজ হয়নি। প্রধান বিশ্বনাথ মাহাতোর ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। হুড়ার বিডিও বিশ্বনাথ রক্ষিত বলেন, “সমস্যার ব্যাপারে আমি খোঁজ নেব।”

ব্যাঙ্কে বিক্ষোভ
ব্যাঙ্কে অ্যাকাউণ্ট খুলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কিষান ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাঙ্কের মধ্যে দালালচক্র কাজ করছে। এমনই একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে বুধবার ইঁদপুরের শালডিহার একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় যুব তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পরে তাঁরা ওই ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজারের কাছে ৫ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন। দালালদের কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজার প্রদীপ সরকারের দাবি, “আমাদের ব্যাঙ্কে কর্মী সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফর্ম না থাকায় অ্যাকাউণ্ট খোলার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।”

ফের কংগ্রেসে
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পুরুলিয়ার জেলা পরিষদের সদস্য মহেশ্বরী মাঝি ফের কংগ্রেসে ফিরে এলেন। বুধবার তিনি বলেন, “ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় তৃণমূলে গিয়েছিলাম। ঝালদা ২ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ফণীভূষণ কুমার বলেন, “তিনি ফিরে আসায় দলে স্বাগত জানিয়েছি।”

ক্ষতিপূরণ
মাওবাদী হামলায় নিহত ঝালদা, বান্দোয়ান, বাঘমুণ্ডি, আড়শা ও বলরামপুরে থানার ৮টি পরিবারের আত্মীয়দের প্রত্যেকের হাতে তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ‘চেক’ তুলে দিল প্রশাসন। বুধবার তাঁদের হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের চেকগুলি তুলে দেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ। তিনি বলেন, “৩৩ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। ১২ জনের পরিবার আগেই পেয়েছেন। বাকি ১৪ জনের অনুমোদন এসেছে। তার মধ্যেই এ দিন ৮ জনের পরিবারকে চেক দেওয়া হল।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.