নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
শহরের জনবহুল এলাকায় দিন দুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় মোটরবাইক থামিয়ে পিস্তল উঁচিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। বুধবার বাঁকুড়া শহরের দোলতলায় এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ব্যাঙ্কে টাকা জমা করতে যাওয়ার পথে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা টাকা ছিনতাই করে। শুক্রবার রাতে বাঁকুড়া শহরের লালবাজার এলাকার একটি অফিসে ঢুকেও দুষ্কৃতীরা কয়েক লক্ষ টাকা ডাকাতি করে বলে অভিযোগ। পরপর লুঠের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার বেশি ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোলতলার একটি গুদাম থেকে ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন গুদাম মালিকের ভাই মণীশ সরাফ। গুদাম থেকে কয়েকশো মিটারের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে। গুদামের অন্যতম কর্ণধার মনোজ সরাফের অভিযোগ, “প্রতিদিনের মতো এ দিন দুপুরেও মোটরবাইকে চড়ে ব্যবসার টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতে যাচ্ছিল আমার ভাই মণীশ ও এক কর্মী। দু’টি মোটরবাইকে চার দুষ্কৃতী উল্টো দিক থেকে এসে ভাইদের মোটরবাইকটিকে ধাক্কা মারে। ভাই ও কর্মী বেসামাল হয়ে মোটরবাইক নিয়ে রাস্তায় যায়। এরপরেই দুষ্কৃতীরা ওদের মারধর করতে থাকে। দুষ্কৃতীদের দু’জন পিস্তল বের করে। এক জন আমার ভাইয়ের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ৬ লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগটি কেড়ে নেয়। এর পরেই তারা চম্পট দেয়।” প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চারজনের মুখে রুমাল বাঁধা ছিল। গাড়িচে ধাক্কা লাগার জন্যেই তাঁরা মারপিট করছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছিল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে আসেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার। তিনি স্বীকার করেন, “বাঁকুড়া শহরে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে ভর দুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনা সাম্প্রতিক হয়নি। স্বভাবতই সে কারণে বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন। তবে গুরুত্ব গিয়েই ঘটনাগুলির তদন্ত করা হচ্ছে।” স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তি সিংহ বলেন, “ভাবতেই পারছি না দোলতলার মত একটি জনবহুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটতে পারে। এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পুলিশের আরও তৎপর হওয়া দরকার।” বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা দেবাশিস লাহা, প্রবীর ঘোষরা বলেন, “শহরে একের পর এক ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।” এ ব্যাপারে বাঁকুড়া পুলিশ সুপার বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” |