নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
পুরুলিয়া শহরের ব্যবসায়ী দম্পতি খুনের অভিযোগে দিল্লি থেকে ধৃত বিনীত অগ্রবাল ও তার বন্ধু ধীরজ অগ্রবালকে নিজেদের হেফাজতে নিল পুলিশ। বুধবার পুরুলিয়া আদালত ধৃতদের ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। গত রবিবার দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করার পরে সেখানকার আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে পুলিশ তাদের পুরুলিয়ায় নিয়ে আসে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “ইতিপূর্বে গ্রেফতার করা বিজয় অগ্রবাল জেরার মুখে পুলিশের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছে। সেই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে দিল্লি থেকে ধৃত এই দুজনকে আলাদা ভাবে জেরা করা হবে। তারপর তিনজনকে একসঙ্গে বসিয়েও জেরা করা হবে।” ঘটনাটি কী ভাবে ঘটেছিল তা জানতে পরে ধৃতদের ওই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অভিনয় করে দেখাতে বলবে পুলিশ। |
পুরুলিয়া আদালতে ধৃতেরা। ছবি: সুজিত মাহাতো। |
গত ২৮ এপ্রিল পুরুলিয়া শহরে নিজের বাড়িতে খুন হন ব্যবসায়ী দম্পতি রামশঙ্কর ও সুশীলা কোঠারি। পরদিন দুপুরে পুলিশ দু’জনের দেহ উদ্ধার করে। খুনের অভিযোগে পুলিশ শনিবার গ্রেফতার করে পুরুলিয়ারই ব্যবসায়ী বিজয়কে। এখন সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোঠারি দম্পতিকে খুন করার মতলবে ঘটনার দিন সকালে বিজয় দিল্লি থেকে তার ভাগ্নে বিনীত অগ্রবাল এবং তার বন্ধু ধীরজ অগ্রবালকে প্লেনে উড়িয়ে নিয়ে আসে। রাতে ওই বাড়িতে তিনজনে ঢোকার পরে রামশঙ্করবাবুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আগে কুপিয়ে খুন করা হয়। তারপরে তাঁর স্ত্রী সুশীলা দেবীকে খুন করা হয়। এর আগে অবশ্য বিজয় রামশঙ্করবাবুর কাছ থেকে বন্ধক রাখা সোনা হাতিয়ে নেয়। পুলিশের দাবি খুনের পরে ওই বাড়িতেই তারা হাত ধোয়। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তারা একটি ভুল করে বসে। রামশঙ্করবাবুর মোবাইল ফোনটি তারা নিয়ে যায়। ফোন থেকে সিমকার্ডটি খুলে মোবাইল ফোনটি শহরের রাস্তায় তারা ফেলে দেয়।. এক পথচারী ওই ফোনটি কুড়িয়ে পেয়ে সিমকার্ড ভরতেই পুলিশ তাকে শনাক্ত করে। তাঁর কাছ থেকে ফোনটি উদ্ধার করার পরে এই খুন সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে বলে পুলিশের দাবি। |