|
|
|
|
কেশপুরে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, আহত দুই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে ফের উত্তেজনা ছড়াল কেশপুরে। গুরুতর আহত হলেন দু’জন। প্রথমে তাঁদের কেশপুর ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন। কয়েকটি বাড়িও ভাঙচুর হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সিপিএমের উপরেই দোষ চাপিয়েছে। দলের ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিক বলেন, “এ সব সিপিএমের চক্রান্ত।” সিপিএম অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গণ্ডগোল হয়েছিল। তবে দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকালে কেশপুর বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শেখ আলাউদ্দিন নামে এক তৃণমূলকর্মীকে মারধর করা হয়। তাঁর বাড়ি গরগজপোতায়। পরে আহত অবস্থায় বাড়ি ফেরার পথে ফের তাঁর উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় আবদুল রশিদ নামে এক তৃণমূলকর্মী বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করা হয়। আবদুলের বাড়ি শাঁকপুরে। পরে দু’জনকেই গুরুতর আহত অবস্থায় কেশপুর ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় আঘাত থাকায় পরে তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যালে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এ দিকে, রবীন্দ্র জন্ম-সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে এ দিন সরিষাখোলায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু, তার আগেই দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ানোয় তা স্থগিত করে দিতে বাধ্য হন তৃণমূল নেতৃত্ব।
রাজ্যে পালাবদলের পর কেশপুর জুড়ে প্রভাব বেড়েছে তৃণমূলের। কঙ্কাল কাণ্ডে জড়িয়ে এন্তাজ আলি, আহমেদ আলি-সহ সিপিএমের ‘দাপুটে’ নেতারা এলাকা ছাড়া। এই পরিস্থিতিতেও প্রায়শই সংঘর্ষ বাধছে। আগে কেশপুরের ব্লক সভাপতি ছিলেন চিত্ত গরাই। লাগাতার অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটতে থাকায় পালাবদলের ক’মাস পর তাঁকে সরিয়ে আশিসবাবুকে ব্লক সভাপতি করা হয়। তবে, পরিস্থিতি এতটুকু পাল্টায়নি বলে অভিযোগ দলের একাংশ কর্মীরই। গত ১৫ মার্চ ট্যাঙাগেড়িয়া ও তার আশপাশ এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। চলে বাড়ি ভাঙচুর, লুঠপাট। ৪ এপ্রিল খেজুরবনি, মুকুন্দপুর ও তার আশপাশ এলাকায় অশান্তি হয়। অবস্থা দেখে ‘উদ্বিগ্ন’ জেলা নেতৃত্ব জরুরি বৈঠক ডাকেন। ব্লক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ৮ সদস্যের একটি ‘বিশেষ’ কমিটি তৈরি করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, এই কমিটি প্রতিটি অঞ্চলে গিয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনা করবে। বৈঠকে বসবে। কোথাও কোনও সমস্যা হলে তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। কিন্তু, সেই আলোচনা শুরু হলেও ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ থেকে এখনও বেরতে পারেনি তৃণমূল। যদিও প্রতি বারের মতো এ বারও সিপিএমকেই অভিযুক্ত করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “ব্লক সভাপতিকে ঘটনার কথা বিস্তারিত জানাতে বলেছি।” |
|
|
|
|
|