|
|
|
|
মাঝখান থেকে রাস্তা সংস্কার, বাসিন্দাদের বাধায় বন্ধ কাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাস্তাটি আগাগোড়াই খারাপ। তবু কোনও একটি প্রান্ত নয়, রাস্তা সংস্কার শুরু হল মাঝখান থেকে। বাধা দিলেন এলাকাবাসী। জানিয়ে দিলেন, কোনও একটি দিক থেকে কাজ না করলে রাস্তা সংস্কার বন্ধ থাকবে। বুধবার এই ঘটনা ঘটল মেদিনীপুর শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিধাননগরে।
স্থানীয় মানুষকে নিয়ে যিনি এ দিন প্রতিবাদে নেমেছিলেন তিনি মেদিনীপুর শহর তৃণমূলের নেত্রী মৌ রায়। তাঁর কথায়, “আগেও আমরা এমন ঘটনা দেখেছি। সিপিএম সব সময় নিজেদের নেতাদের বাড়ির সামনের রাস্তা সংস্কার করে দেয়। বাকি রাস্তা খারাপই থাকে।” ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক সুজিত বসুর দাবি, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “বিআরজিএফ প্রকল্পে ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য অনেক আগেই প্রকল্প জমা দিয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর। বর্তমানে সেই কাজ শুরু হয়েছে। মাঝখান থেকে কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয় মানুষ আপত্তি তুলেছেন। তাতে কাজ বন্ধ রয়েছে।” |
|
-নিজস্ব চিত্র। |
কয়েকমাস আগেই ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর প্রফুল্ল শাসমলের মৃত্যু হয়। তারপর থেকে এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর শূন্য। ওয়ার্ড কমিটি ও পুরসভার পক্ষ থেকে ওয়ার্ডটি দেখভাল করা হয়। দায়িত্বে থাকেন পুরপ্রধান বা উপপুরপ্রধান। মেদিনীপুর পুরসভা তৃণমূল ও কংগ্রেস জোটের দখলে। পুরপ্রধান তৃণমূলের, উপপুরপ্রধান কংগ্রেসের। কিন্তু ওয়ার্ড কমিটি সিপিএমের। ফলে, জটিলতা রয়েছে। পুরপ্রধান বলেন, “সিপিএম কাউন্সিলর এ ভাবেই প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন। তিনি এখন প্রয়াত হয়েছেন। সমস্যা সমাধানে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনায় একটি পথ খুঁজে বের করা হয়েছে।” একটি প্রান্ত থেকে রাস্তার কাজ করা হলে কত টাকা খরচ হতে পারে সেই প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করছে পুরসভা। পুরপ্রধান বলেন, “যদি কম টাকারয় হয়ে যায় তাহলে পুরসভা অন্য কোনও তহবিল থেকে বাকি রাস্তা সংস্কার করে দেবে। বিআরজিএফ-এ তো ওই রাস্তাটিই করতে হবে।” বিআরজিএফ কেন্দ্রীয়প্রকল্প। প্রকল্প রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেই অর্থ মঞ্জুর হয়। পরে প্রকল্প পাল্টানো যায় না। কাজ না করতে পারলে টাকা ফেরত যাবে। |
|
|
|
|
|