|
|
|
|
চাঁদা নিয়ে বচসা, ধেড়ুয়া রুটে বাস বন্ধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের একাংশের সঙ্গে বাসকর্মীদের বচসার জেরে মঙ্গলবার বিকেল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম ভায়া ধেড়ুয়া রুটে। বুধবার দিনভরই এই রুটে কোনও বাস চলেনি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ ছাত্রীরা। এ দিন দুপুরে ঘটনাস্থলে যান কোতয়ালি থানার আইসি জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তিনি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, জট কাটেনি। জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরি বলেন, “পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” অন্য দিকে, জেলা পরিবহণ আধিকারিক বিপুল বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। বাস চলাচল স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” |
|
ধেড়ুয়া রুটে বাস বন্ধ। ভরসা ট্রেকার। বুধবার রামপ্রসাদ সাউয়ের তোলা ছবি। |
মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম ভায়া ধেড়ুয়া রুটে দিনভর বেশ কয়েকটি বাস চলাচল করে। এই রুটের মধ্যেই পড়ে মণিদহ, চাঁদড়া প্রভৃতি এলাকা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, গত ক’দিন ধরেই ধেড়ুয়ার একাংশ বাসিন্দা পথচলতি বাস-লরি থেকে চাঁদা আদায় করছেন। শিব-গাজন মেলার জন্যই এই চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে একটি বাসের কর্মীদের সঙ্গে চাঁদা আদায়কারীদের বচসা বাধে। হাতাহাতিও হয়। বাসকর্মীদের হেনস্তা করা হয়েছে জানতে পেরেই ধেড়ুয়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন বাস মালিকেরা। ফলে বিকেল থেকেই সমস্যা দেখা দেয়। দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারন মানুষজন। জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, “ওই রুটের প্রতিটি বাস থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছিল। দাবি করা হচ্ছিল আরও বেশি টাকার। চাঁদা আদায়ের একটা পদ্ধতি আছে। উদ্যোক্তারা আমাদের কাছে আবেদন করতে পারতেন। আমরা সামর্থ্য মতো চাঁদা দিতাম।” জেলা বাস ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি শিবু সরখেল বলেন, “এ ভাবে বাস আটকে চাঁদা আদায় বন্ধ হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসনকে পদক্ষেপ করতে হবে।” তাঁর কথায়, “এমনিতেই এখন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। অথচ, বাস ভাড়া বাড়ছে না। তার উপর এ ভাবে চাঁদার চাপ এলে বাস চালানোই অসম্ভব হয়ে উঠবে।”
মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বাস মালিকেরা। তাঁদের বক্তব্য, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার দুপুরে ধেড়ুয়ায় যান কোতয়ালি থানার আইসি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|