সাপের ঝোলা উধাও, খুঁজতে গেল পুলিশ |
সাপ খোওয়া যাওয়ার অভিযোগ পেয়ে সাপ খুঁজতে নেমে পড়ল পুলিশ। বুধবার এমন ‘মজার’ ঘটনাই ঘটল বসিরহাটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমডাঙার আওয়ালসিদ্ধি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় সাপুড়ে মহতাব মালের। সঙ্গী ত্রিপুর মালকে নিয়ে সাপের খেলা দেখাতে বেরিয়েছিলেন। এ দিন সকালে তাঁরা ট্রেনে করে বসিরহাটের ভ্যাবলা স্টেশনে পৌঁছন। সেখান থেকে হেঁটে চলে আসেন ইটিন্ডা রোডে। ঘড়িতে তখন সাড়ে ৮টা। সংগ্রামপুরে যাওয়ার জন্য বসিরহাট থানার সামনে থেকে দু’জনে ভ্যানরিকশায় চাপেন। সঙ্গের দু’টি সাপের ঝোলা রেখেছিলেন পিছনে। কিছুক্ষণ পরে তাঁরা ইছামতী সেতুর কাছে পৌঁছন। গোল বাধে সেখানেই। ভ্যানের ভাড়া মেটাতে গিয়ে পিছনে তাকাতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। দেখেন সাপের দু’টি ঝোলার মধ্যে পড়ে আছে মাত্র একটি। মাথায় হাত দিয়ে সেখানেই বসে পড়েন মহতাব। সাপের ঝোলা চলে গেলে খেলা দেখাবেন কী করে? এ যে পেটে টান পড়ার জোগাড়। শেষ পর্যন্ত নিজেকে সামলে পড়িমড়ি করে ছুট লাগালেন থানার দিকে। পেটের টানের সঙ্গে সঙ্গে এ যে আর এক বিপদ! যে ঝোলাটি খোয়া গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে গোখরো ও কেউটে মিলিয়ে চার চারটে সাপ। বিষের থলি এখনও ভাঙাই হয়নি। তা ছাড়া রয়েছে জরুরি কাগজপত্র, সাপের বিন। ভুল করে কেউ ঝাঁপি খুললেই সর্বনাশ। থানায় বড়বাবুকে সব জানাতে তিনি সাপ খুঁজে বের করার চেষ্টা হবে বলে মহতাবকে জানান।
|
বনকর্তাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ |
পর্যটকদের পিটুনিতে এক বন অফিসারের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল কর্নাটকে। ঘটনাটি ডান্ডেলি-আনসি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের। এম এইচ নাইক নামে ওই ব্যক্তি সহকারী বনপাল পদে কর্মরত ছিলেন। এক দল পর্যটক ওই সংরক্ষণ কেন্দ্রের ভিতরে কুমিরকে খাবার দিচ্ছিলেন। নাইক তাঁদের বাধা দেওয়ায় তাঁরা নাইককে মারধর করেন। মঙ্গলবার রাতে নাইকের মৃত্যু হয়। ৬ মে ছ’জন পর্যটককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুই মহিলাকে পরে ছাড়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে যে রিসর্টে পর্যটকরা ছিলেন তার মালিকের বিরুদ্ধে দু’টি চোরা শিকারের মামলা রয়েছে। |