জলদাপাড়ার প্রশিক্ষিত ৬টি কুনকি হাতির নেওয়ার জন্য চার মাস আগে আবেদন করে উত্তরপ্রদেশ বন দফতর। তবে প্রশিক্ষিত কুনকি তাঁদের দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দেয় রাজ্যের বন দফতর। তার বদলে জলদাপাড়ার বিভিন্ন পিলখানাতে থাকা ছোট হাতিদের সে রাজ্যে পাঠাতে আপত্তি নেই বলে জানানো হয়। সম্প্রতি ছোট হাতিগুলি দেখতে জলদাপাড়াতে এসে ঘুরে যান দুধুয়া ন্যাশনাল পার্কের এক কর্তারা। তাঁরা ছোট ওই হাতিগুলি দেখে ফিরে যান। রাজ্যের বনমন্ত্রী হীতেন বর্মন বলেন, “কুনকি কম থাকায় তা অন্য রাজ্যে এখন পাঠানো সম্ভব নয়।” বন দফতর সূত্রের খবর, কুনকি হাতি পোষার খরচ কমাতে হাতি দত্তক দেওয়ার চিন্তভাবনা অনেকদিন আগেই ঠিক করেছে বন দফতর। উত্তরপ্রদেশ বন দফতরের আবেদনে ২০০৮ সালে শ্রীলোচনা, মধু, গজরাজ, চামেলি ও মোহনলাল নামে জলদাপাড়ার পাঁচ কুনকিকে দুধুয়া ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে ২০০৭ সালে জলদাপাড়ার দুটি হাতি রাহুল ও দেবীকে পাঠানো হয় জাপানে। |
এর পরে ফের হাতির জন্য আবেদন করে উত্তর প্রদেশ। এই রাজ্যের বন কর্তারা জানান, বর্তমানে জলদাপাড়াতে ৭২ টি কুনকি রয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি কুনকি বহু বছর আগে শোনপুর মেলা থেকে কিনে আনা হয়েছে। তাদের বয়স হয়ে গিয়েছে ১৫টি শাবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে কুনকি তৈরি করা হচ্ছে। জলদাপাড়া, গরুমারা, বক্সা, মহানন্দা বাদে বাকি বনাঞ্চলে কুনকি না থাকায় টহলদারিতে সমস্যা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে হাতি তাড়াতে কুনকি পাঠানোর আবেদন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অন্য রাজ্যে আর হাতি পাঠানো সম্ভব নয়। প্রধান মুখ্য বনপাল সীতাংশু বিকাশ মণ্ডল বলেন, “কুনকির সংখ্যা কম থাকায় তা দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। ছোট হাতি নিয়ে ওই রাজ্যের বন কর্তারা রাজি নন।” |