নিয়ম না-মেনে গাছ কাটায় অভিযুক্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা গ্রন্থাগার কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। পাশাপাশি বালুরঘাটের গ্রন্থাগারিকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিভাগীয় স্তরে ব্যবস্থার জন্য গ্রন্থাগার অধিকর্তাকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে তদন্ত কমিটি।
গত জানুয়ারিতে বালুরঘাটে জেলা গ্রন্থাগার চত্বর থেকে ২৩ টি পুরানো আমলের শাল, সেগুন, জারুল গাছ কেটে ফেলার ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসন থেকে লোকাল লাইব্রেরি অথরিটির তিন সদস্যের একটি দলকে ঘটনার তদন্তে নামানো হয়। তদন্তকারী ওই দলে ছিলেন অথরিটির সদস্য বালুরঘাটের বিপ্লব খাঁ, হরিরামপুরের সোনা পাল এবং কুশমণ্ডির সুনির্মল বিশ্বাস। তারা তদন্ত করে গাছ কাটায় বিস্তর অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে সম্প্রতি তদন্ত রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিলে হইচই শুরু হয়। বুধবার বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন তদন্তকারী দলের লোকাল লাইব্রেরি অথরিটির লিডার তথা তৃণমূলের কার্যকরী জেলা সভাপতি বিপ্লব খা। তিনি বলেন, “গ্রন্থগার চত্বর থেকে ১২ টি গাছ কাটার অনুমতি নিয়ে ২৩ টি শিশু, সেগুন, মেহগনি ও জারুল গাছ কেটে ফেলা হয়। এই অনিয়মে জড়িয়েছেন গ্রন্থাগারিক।” ৬ জনের গ্রন্থাগার কমিটিতে তিনিই সম্পাদক। কমিটিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘটনার সরজমিন তদন্তে নেমে নথিপত্র দেখে ওই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়েছেন। গ্রন্থাগার চত্বরে মোট ৩৩ টি গাছ রয়েছে। গ্রন্থাগারের ঘর তৈরির জন্য ১২ টি গাছ কাটার যে সিদ্ধান্ত তারা নেন, দেখা যায় গাছ না-কেটেও পাকা ঘর তৈরি করা সম্ভব। স্রেফ আর্থিক নয়ছয়ের অসৎ উদ্দেশ্যে মুল্যবান গাছগুলি কেটে ফেলা হয় বলে এদিন অভিযোগ করেছেন বিপ্লববাবু। জেলা গ্রন্থাগার সমূহের আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় মিত্র বলেন, “অভিযোগ পেয়ে গত সপ্তাহে বালুরঘাটের গ্রন্থাগার কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বালুরঘাটের গ্রন্থাগারিক অনুপ মন্ডল কোনও মন্তব্য করতে চাননি।” |