যুবকের ঝুলন্ত দেহ, শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর |
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালাল জনতা। দেহ শ্বশুরবাড়িতে বাগানের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার সুজনবাগান এলাকায়। বিষ্ণুপদ দে (৩২) নামে ওই যুবকের বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, বিষ্ণুপদবাবু বছর ছ’য়েক আগে তাঁর প্রতিবেশী চৈতালিকে বিয়ে করেন। একটি পুত্র সন্তান হয়। সম্প্রতি চৈতালিদেবী উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে একটি চাকরি পান। স্ত্রীর চাকরি করা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিষ্ণুপদবাবু চাইছিলেন না, স্ত্রী চাকরি করুন। কিন্তু চৈতালি তা মানতে চাইতেন না। স্ত্রীকে ইদানীং ওই যুবক সন্দেহও করতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। বিষ্ণুপদর বাবা শান্তিমোহনবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, ছেলে-বৌমা প্রতিদিন রাতে শ্বশুরবাড়িতে খেয়ে তাঁদের বাড়িতে শুতে আসত। মঙ্গলবার রাতেও এসেছিল। সকালে উঠে তিনি দেখেন, ছেলের ঘরের দরজা খোলা। কেউ ঘরে নেই। খোঁজ নিতে তিনি ছেলের শ্বশুরবাড়িতে যান। দেখেন, একটি নিমগাছের ডাল থেকে ছেলের দেহ ঝুলছে। বাড়িতে কেউ নেই। শান্তিমোহনবাবু বলেন, “ছেলেকে ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজনই খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। বৌমার বাবা নিজের মেয়েকে সংযত করার চেষ্টা করেননি। উল্টে নানা বাজে কাজে মদত দিতেন। অন্যায় না করলে ওঁরা পালালেন কেন?” প্রাথমিক তদন্তের পর জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “মৃত ওই যুবকের দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না-তদন্তের রির্পোট পাওয়া গেলে তবেই মৃৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
|
বিধানসভা ভোটে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে সিপিএমের বহু নেতা-কর্মী ঘরে ফিরতে পারছেন না বলে অভিযোগ। পুড়শুড়ার ক্ষেত্রে ঘরছাড়া সিপিএমের লোকজনকে ফেরানোর ব্যাপারে বুধবার সকালে থানায় সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়। বিডিও সম্রাট মণ্ডলের উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, দলগত ভাবে কাউকেই তাঁরা গ্রামে ফিরতে বাধা দেবেন না। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়ে দেন, ‘জনরোষ’ দেখা দিলে, তার দায়িত্বও নেবেন না। বিডিও বলেন, “ঘরছাড়াদের ফিরতে বলা হচ্ছে। তবে শান্তি-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি যাতে খারাপ না হয়, তা দেখতেও পুলিশ ও রাজনৈতিক দলগুলিকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়েছে।” সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘জনরোষের’ কথা বলে তৃণমূল চাইছে না, ঘরছাড়ারার ফিরুক।
|
গত ৭ মে উলুবেড়িয়ার সোমরুখ হাইস্কুলের ১৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে স্কুলের কাছেই মারধরের অভিযোগ ওঠে। ৬ জন এখনও চিকিৎসাধীন। স্কুলেরই টিচার-ইন-চার্জ খাতিয়ার রহমান লোক লাগিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এই হামলার প্রতিবাদে বুধবার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জেলার অতিরিক্ত স্কুল পরিদর্শককে স্মারকলিপি দিয়েছেন। খাতিয়ারের অপসারণ এবং দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন তাঁরা। শিক্ষকদের সমর্থনে এ দিন বিকেলে গরুহাটা মোড়ে পথসভা করেন বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের সদস্যেরা।
|