নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি ও সিউড়ি |
স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের ‘খামখেয়ালি’ মনোভাবের প্রতিবাদ করে বুধবার স্কুলের বিক্ষোভ দেখালেনর অভিভাবকেরা। নলহাটি থানার ভদ্রপুর মহারাজা নন্দকুমার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বামাপদ দাসের দাবি, “অন্য শিক্ষকদের মারধর করেছেন অভিভাবকেরা। শুধু তাই নয়, তাঁরা আমাকেও হেনস্থা করেছেন।” এই গণ্ডগোলের জেরে এ দিন স্কুলের পড়াশোনা শিকেয় উঠে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং প্রধান শিক্ষক শীঘ্রই স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করার আশ্বাস দেন। |
সিউড়ির স্কুলে শিক্ষিকার সঙ্গে বচসা। নিজস্ব চিত্র |
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, “এক দিন আগে স্কুলে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয়েছে। শুধু ২৫শে বৈশাখ নয়, গত শনিবার বুদ্ধজয়ন্তী উপলক্ষে স্কুল ছুটি ছিল। এরকম ভাবে বিপদতারিনী পুজো, মনসা পুজো উপলক্ষে হঠাৎ হঠাৎ স্কুল ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়।” তাঁদের দাবি, “প্রধান শিক্ষক নিজেও সব দিন স্কুলে আসেন না। বেশ কিছু শিক্ষকের প্ররোচনায় তাঁদেরকে সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়ে স্কুল পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক এর ফলে পঠন-পাঠনের মান ক্রমশ নীচে নেমে যাচ্ছে।” যদিও বামাপদবাবু বলেন, “শিক্ষা দফতরের অনুমোদন নিয়ে সোমবার অনুষ্ঠান করা হয়েছে। সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের বেশি ছুটি নিতে পারি না। শনিবারের ছুটির দিনটি ওই ৬৫ দিন থেকে কমানো হবে। তা ছাড়া, আমাকে স্কুল সংক্রান্ত নানা কাজে বাইরে যেতে হয়। এতে আমার দোষ কোথায়।”
জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সন্তোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১-৭ মে পর্যন্ত রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান করার জন্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি ভাবে ছুটি ছিল। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”
অন্য দিকে, ২৫শে বৈশাখের পরিবর্তে ২৬ বৈশাখ রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করার প্রতিবাদে এ দিন সকালে সিউড়ির লম্বোদরপুর প্রাথমিক স্কুলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় লোকজন। প্রধান শিক্ষিকা এলিজাবেথ হেমব্রম দাবি, “সরকারি নির্দেশ মেনে এমনটা করা হয়েছে। কিছু লোকজন অহেতুক বিক্ষোভ দেখিয়ে অনুষ্ঠানের ব্যাঘাত ঘটালেন।” যদিও বিক্ষোভকারীরা বলেন, “সরকারি এমন নির্দেশের কথা যদি প্রধান শিক্ষিকা আগে জানাতেন তা হলে এমনটা হত না।” |