অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় • নলহাটি |
গোপালপুর গ্রাম নিয়েই এই পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সব চেয়ে বড় সমস্যা নিকাশি নালা। ওয়ার্ডের সর্বত্রই উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে নিকাশি নালা। খেলতে গিয়ে ছোটছোট ছেলেমেয়েরা নালায় পড়ে না যায় সে জন্য বাসিন্দাদের সজাগ থাকতে হয়। সজাগ না থাকলে বড় বিপদ যে ঘটতে পারে তা জানা গেল দক্ষিণপাড়ার বধূ লতিফা বিবির কথায়।
ছ’দিন আগের ঘটনা তিনি এখনও ভুলতে পারেননি। মনে পড়লেই চোখের জল ফেলেন। কারণ, এক দিন সন্ধ্যায় তাঁর দু’বছরের শিশু বাড়ির সামনে খোলা নিকাশি নালায় পড়ে গিয়েছিল। লতিফা বিবি বলেন, “ছেলেটা বাড়ির সামনে খেলছিল। কখন যে নালায় পড়ে গিয়েছে খেয়াল করিনি। ভাগ্যিস আধ ঘণ্টার মধ্যে ছেলেকে নালার হাঁটু সমান জল থেকে তুলতে পেরেছিলাম। সেই থেকে ছেলের শরীর ভাল নেই।” শুধু লতিফা বিবি নন, ওই পাড়ার বাসিন্দা রেহানা বিবি, গোলাম আহমেদ রেজা, আলেয়া বেওয়াদের ক্ষোভ, “এ রকম খোলা নিকাশি নালা আমাদের দরকার নেই। ভালই ছিল মাটির নালা। তাতে আর যাই হোক, জমা জলে এ ভাবে ছোটছোট ছেলেমেয়েরা পড়ে যেত না।”
দক্ষিণপাড়া থেকে প্রায় ২০০ মিটার অংশ পুরসভার তৈরি নিকাশি নালা খোলা অবস্থায় রয়েছে। সংস্কারের অভাবে জমা জল নালা দিয়ে বয়ে যায় না। নিকাশি নালার পাশাপাশি এলাকার রাস্তাঘাট নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। নতুন ভোটার নলহাটি হিরালাল ভকত কলেজের ছাত্র নুর হাসান বলেন, “এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজ সব জায়গায় হয়নি। যেটুকু হয়েছে নজরদারির অভাবে তাও নিম্নমানের। বছর ঘুরতেই সংস্কার হওয়া ঢালাই রাস্তা থেকে পাথর বেরিয়ে পড়েছে।” আর এক বাসিন্দা আবুল হেনা, নেক মহম্মদ, আব্দুল রেকিবদের ক্ষোভ, “এলাকার সব জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। নামেই পুরসভা। উন্নয়ন বরং পঞ্চায়েত এলাকায় বেশি দেখা যাবে। এখনও গোপালপুর গ্রামই থেকে গিয়েছে। সব জায়গায় পরিশ্রুত পানীয় জলও পৌঁছয়নি।” ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে জিতে পরবর্তীকালে তৃণমূলে যাওয়া কাউন্সিলর শুক্লা সরকারের দাবি, “নতুন নিকাশি নালা তৈরি করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “এখনও স্ল্যাব দেওয়া হয়নি। নির্বাচন তো চলে আসছে, পরে স্ল্যাব দেওয়া হবে।” যদিও এ বার পুর নির্বাচনে শুক্লাদেবীকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল।
|
ওয়ার্ড ১ |
• নিকাশির হাল খারাপ, রাস্তা সংস্কার হলেও খামতি আছে।
• সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি।
• কলের অভাব আছে। |
শুক্লা সরকার,
তৃণমূল কাউন্সিলর
সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। রাস্তাঘাট, নিকাশি নালার উন্নতি হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ত্রুটি আছে।
|
নুর মহম্মদ,
বিরোধী দলনেতা,কংগ্রেস প্রার্থী
গোপালপুর গ্রাম নিয়েই এই ওয়ার্ড। এখনও গ্রামীণ এলাকা হিসেবে থেকে গিয়েছে। উন্নয়ন কিছুই হয়নি। |
|