এক সিপিএম প্রার্থীকে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার দুর্গাপুরে আসন্ন পুরভোটের ওই প্রার্থী নির্বাচনী আধিকারিক তথা মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের প্রার্থী হচ্ছেন আদিবাসী যুবনেত্রী লক্ষ্মীমনি হাঁসদা। ৫ মে তিনি মনোনয়ন দাখিল করেন। অভিযোগ, তার পর থেকেই তাঁকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের স্থানীয় সমর্থক ও নেতারা। এমনকী বুধবার সকালে বাড়িতে গিয়ে তাঁকে এবং তাঁর মাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে মহকুমাশাসক আয়েষা রানির কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন লক্ষ্মীমনি।
পলাশডিহার বাসিন্দা লক্ষ্মীমনির অভিযোগ, “দল আমাকে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়ন পত্র তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ তৃণমূলের বেশ কয়েক জন সমর্থক ও নেতা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তারা হুমকি দেয়, প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করা হলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে। আমার মাকেও হুমকি দেওয়া হয়।” এর পরেই বিষয়টি তিনি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানান। নেতৃত্বের পরামর্শে তিনি মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানান। তাঁর মা রাসমনি হাঁসদা বলেন, “সকালের ওই ঘটনার পর থেকে আতঙ্ক কাটছে না।”
সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তথা এ বারের পুরসভা ভোটে সিপিএম প্রার্থী বিপ্রেন্দু চক্রবর্তীর আরও অভিযোগ, “আমার ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারের দেওয়াল লিখনে বাধা দিয়েছিল তৃণমূল। এ বার আরও একধাপ এগিয়ে আমাদের প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হল। পুরভোটে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে এমন সব কাণ্ড ঘটাচ্ছে তৃণমূল।
সিপিএমের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সিপিএম প্রার্থীর বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়ার প্রসঙ্গে দলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে এই ঘটনায় কোনও তৃণমূল কর্মী যে জড়িত নয়, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।” পুরভোটের আগে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে অপূর্ববাবুর পাল্টা দাবি, “সিপিএমের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই এখন উল্টোপাল্টা কথা বলছে।” |