চোপড়ার একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের চেষ্টায় মূল অভিযুক্ত জাইদুল রহমানকে পুলিশি হেফাজতে রাখার পর এ বার জেলহাজতে পাঠান হল। মঙ্গলবার তাকে ফের ইসলামপুরের অতিরিক্ত মুখ্য ও দায়রা আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার পর এ দিন আদালতে তোলা হলে জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। সরকারপক্ষের আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “অভিযুক্তকে আগেই ১৪ দিনের জেলহাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মেনেই ৮ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার পর এদিন ফের আদালতে তোলা হয়। বিচারক স্মৃতিরূপা ঘোষের এজলাসে তোলা হলে বিচারক তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ৫ দিন পরে ফের তাকে আদালতে তোলা হবে।” গত ২৮ এপ্রিল স্কুলে যাওয়ার পথে কালাগছে রাস্তা থেকে ওই ছাত্রীকে ৮ জন ছোটগাড়িতে তুলে নিয়ে যায় চা বাগানের নির্জন এলাকায়। অভিযোগ, গণধর্ষণের পর গলায় পা দিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়। সংজ্ঞা হারালে মারা গিয়েছে ভেবে বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা। জ্ঞান ফিরতেই চা বাগান ঘেরা দেওয়ার নাইলনের জাল গায়ে জড়িয়ে ছুটতে থাকলে চা বাগানের মহিলা শ্রমিকেরা তাকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় মবল অভিযুক্ত জাইদুল রহমান এবং নইমূল হককে পুলিশ গ্রেফতার করে। বাকিরা এখনও অধরা থাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জইদুল কংগ্রেসের চোপড়ার মাঝিয়ালি অঞ্চল কমিটির সভাপতি নাসিরুদ্দিন হকের ছেলে। ওই ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে নাসিরুদ্দিন বাবুর স্ত্রী জাহিদা খাতুনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে তল্লাশি চলছে।” উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্রীকে এ দিন দেখতে যায় এলাকার বিডিও। বাকি অভিযুক্তরা ধরা না পড়ায় পরিবারের লোকেরা তাঁর কাছে আতঙ্ক প্রকাশ করেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও মানসিক ভাবে ছাত্রীটি ভেঙে পড়ে বলে পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন। মহিলা এবং শিশুদের সুরক্ষা, মানবাধিকারের কাজে রত দুর্গাবাহিনীর সদস্যরা এ দিন হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ছাত্রীর পরিবারের লোকদের নিখরচায় সমস্ত আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। |