|
|
|
|
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শয্যা দাবি বলরামপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তুফানগঞ্জ |
পরিকাঠামোর উন্নয়ন করে তুফানগঞ্জের বলরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফের শয্যা চালুর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে বাসিন্দাদের তরফে প্রায় দেড় হাজার গ্রামবাসী ওই দাবিতে কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্থানীয় বিধায়ক-সহ জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছেও ওই স্মারকলিপির কপি পাঠানো হয়েছে। তারপরেও কাজ না-হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে তাঁরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেড় দশক আগে বলরামপুরের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী ভর্তির ব্যবস্থা ছিল। চিকিৎসক, নার্সরা সকলেই লাগোয়া আবাসনে থাকতেন। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় আবাসনগুলি বেহাল হয়ে পড়েছে। চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, কেউই সেখানে থাকেন না। চিকিৎসক বাইরে থেকে কয়েক ঘন্টার জন্য আসেন। তার ওপর তুফানগঞ্জ মহকুমার প্রত্যন্ত এলাকা বলরামপুর গ্রাম সংলগ্ন কালজানি নদীতে সেতু তৈরির কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি বলে সরাসরি এলাকার বাসিন্দারা মহকুমা সদর হাসপাতালেও যেতে পারেন না। ফলে গুরুতর কিছু হলেই রোগীকে নিয়ে প্রায় ২৭ কিমি দূরে ঘুরপথে কোচবিহার জেলা হাসপাতাল বা ১৫ কিলোমিটার দূরের দেওয়ানহাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াত করতে হয়। তার পরেও প্রাথমিক হাসপাতালটির বেহাল দশা ঘোচানোর ব্যাপারে স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ উদাসীন বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, বাম আমলে বহু বার দাবি জানিয়েও লাভ হয়নি। সেজন্য নতুন করে আন্দোলনের মাধ্যমে নয়া সরকারের নজর কাড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের তরফে মানিক রায় বলেন, “দ্রুত ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোর হাল ফিরিয়ে রোগী ভর্তির ব্যবস্থা চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে। আগের সরকারের সময় বহু আন্দোলন করেও কাজ হয়নি বলে আমরা নতুন সরকারের কাছে দাবি পূরণের ব্যাপারে আন্দোলনে নেমেছি।” বলরামপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিতেন রায় বলেন, “দশ বছর আগেও বাসিন্দারা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শয্যা থাকায় রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পেতেন। ফের ওই ব্যবস্থা চালুর দাবির যৌক্তকতা রয়েছে। এটা করা গেলে বাসিন্দাদের সমস্যা অনেকটা কমবে।” এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষও বাসিন্দাদের দাবির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বাম আমলে বাসিন্দাদের এমন সমস্যাকে আদৌ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধের জন্য বিধায়ক তহবিলের বরাদ্দে অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হয়েছে। দ্রুত যাতে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শয্যা চালু করা হয় তাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আমি এই ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব।” তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের বিডিও তাপস সিংহরায় বলেন, “বলরামপুরের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের ব্যাপারে আমরাও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠাব।” মোবাইলে যোগাযোগ করা যায়নি বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাসের বক্তব্য জানা যায়নি। |
|
|
|
|
|