টুকরো খবর
এখনও অচলাবস্থা নিমতিতার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অচলাবস্থা কাটল না মঙ্গলবারও। নিমতিতায় বিড়ি শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক না আসায় কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে পরিষেবা। এ দিনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও চিকিৎসকের দেখা মিলল না। এ দিন সকালে হাসপাতালের পরিস্থিতি সরেজমিনে যান সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস। তিনি বলেন, “বাইরে রোদের মধ্যে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন। কোনও পরিষেবাই তো পাচ্ছেন না তাঁরা। স্বাস্থ্যকমীরা জানিয়েছেন, এক চিকিৎসককে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হলেও প্রায় মাস আটেক তিনি আসছেন না। পরিষেবা না পাওয়ায় প্রতিদিনই বিড়ি শ্রমিকেরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। চিকিৎসক না থাকায় বিড়ি শ্রমিক কল্যাণের যাবতীয় প্রকল্পের সব সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রমিকেরা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়েছে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে। সাংসদ প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।” সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের অফিসে লিখিত ভাবে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।”

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শয্যা দাবি
পরিকাঠামোর উন্নয়ন করে তুফানগঞ্জের বলরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফের শয্যা চালুর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে বাসিন্দাদের তরফে প্রায় দেড় হাজার গ্রামবাসী ওই দাবিতে কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্থানীয় বিধায়ক-সহ জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছেও ওই স্মারকলিপির কপি পাঠানো হয়েছে। তারপরেও কাজ না-হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে তাঁরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেড় দশক আগে বলরামপুরের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী ভর্তির ব্যবস্থা ছিল। চিকিৎসক, নার্সরা সকলেই লাগোয়া আবাসনে থাকতেন। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় আবাসনগুলি বেহাল হয়ে পড়েছে। চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, কেউই সেখানে থাকেন না। চিকিৎসক বাইরে থেকে কয়েক ঘন্টার জন্য আসেন। তার ওপর তুফানগঞ্জ মহকুমার প্রত্যন্ত এলাকা বলরামপুর গ্রাম সংলগ্ন কালজানি নদীতে সেতু তৈরির কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি বলে সরাসরি এলাকার বাসিন্দারা মহকুমা সদর হাসপাতালেও যেতে পারেন না। ফলে গুরুতর কিছু হলেই রোগীকে নিয়ে প্রায় ২৭ কিমি দূরে ঘুরপথে কোচবিহার জেলা হাসপাতাল বা ১৫ কিলোমিটার দূরের দেওয়ানহাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াত করতে হয়। এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বাম আমলে বাসিন্দাদের এমন সমস্যাকে আদৌ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আমি এই ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব।” তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের বিডিও তাপস সিংহরায় বলেন, “বলরামপুরের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের ব্যাপারে আমরাও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠাব।” রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

চিকিৎসকের মৃত্যু, অভিযোগ গাফিলতির
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এক চিকিৎসকের মৃত্যুকে ঘিরে মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়ায় আলিপুরের এক নার্সিংহোমে। জয়ন্ত বিশ্বাস নামে কালনা মহকুমা হাসপাতালের ওই চিকিৎসক গল ব্লাডারের পাথর অস্ত্রোপচারের জন্য এক সপ্তাহ আগে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। অস্ত্রোপচারের পরেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যুর পরেই পরিবারের লোকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে জয়ন্তবাবুর। আলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। নার্সিংহোমের সিইও সুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “ঘটনাটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। অস্ত্রোপচারের পরে রোগীর কিছু জটিলতা দেখা দেয়। আমরা মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করেছিলাম। কিন্তু সব চেষ্টা সত্ত্বেও ওঁকে বাঁচানো যায়নি। ওঁর পরিবারের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।” জয়ন্তবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়ে এ দিনই কালনা হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মীরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। হাসপাতালের সুপার অভিরূপ মণ্ডল বলেন, “চিকিৎসক হিসেবে সুনাম ছিল জয়ন্তবাবুর। অত্যন্ত নিয়মানুবর্তী ছিলেন।” কালনার এসিএমওএইচ সুভাষচন্দ্র মন্ডল বলেন, “কালনা হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। জয়ন্তবাবুর মৃত্যুতে বড় ক্ষতি হল।”

আইএমএ-র সম্মেলন
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) হুগলি জেলা সম্মেলন গত ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হল। সংগঠনের শ্রীরামপুর শাখার উদ্যোগে এবং জেলার অন্যান্য শাখার সহযোগিতায় ওই কর্মসূচি পালিত হয়। শ্রীরামপুরে আইএমএ ভবনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দেড় শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সংগঠকেরা জানান, চিকিৎসাশাস্ত্রে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের সুফল এবং বিভিন্ন অসুখ ও তার নিরাময় নিয়ে আলোচনা করা হয়। চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের জটিলতার কথাও আলোচনা করেন চিকিৎসকেরা। আয়োজক সম্পাদক চিকিৎসক প্রদীপকুমার দাস বলেন, “সব চিকিৎসক যাতে সর্বজনগ্রাহ্য নীতির দ্বারা পরিচালিত হন, তার একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসক সমাজের প্রতি কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যে বিরূপ ধারণা রয়েছে, তার অবসান ঘটানোর প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।” সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএমএ-র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা বিধায়ক সুদীপ্ত রায়, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, আইএমএ-র রাজ্য শাখার সভাপতি রামদয়াল দুবে প্রমুখ। শেষ পর্বে গিরগিটি সাংস্কৃতিক সংস্থা আয়োজিত গাতিআলেখ্য ‘মা’ পরিবেশিত হয়।

স্বাস্থ্য নিয়ে মন্ত্রীকে আর্জি
পুরুলিয়ায় এক ছাদের নীচে মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি আয়ুবের্দিক ও হোমিওপ্যাথি কলেজ গড়ে তোলার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছে দাবি জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক যজ্ঞেশ্বর সেনগুপ্ত। গত বৃহস্পতিবার চন্দ্রিমাদেবী পুরুলিয়ায় এসেছিলেন। তাঁর কাছে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা পুরুলিয়া হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ পুনরায় চালু করার আর্জি জানান কলেজের ষ্টাফ কাউন্সিলের মুখপাত্র মণীন্দ্রনাথ জানা। চন্দ্রিমাদেবীর আশ্বাস, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁদের প্রস্তাব জানাব। কয়েকদিন আগে লালগড়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন পুরুলিয়ায় একটি মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলা হবে।”

স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির
বিনা খরচে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হল রানিগঞ্জের শালডাঙ্গার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। রবিবার সিহারশোল রাজ উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয় সেবা প্রকল্পের আওতায় রবিবার ওই শিবিরের আয়োজন করা হয়। ২ মে ওই প্রকল্পের সূচনা করেন বিধায়ক সোহরাব আলি। ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তীতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই কর্মসূচী শেষ হবে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, ১৫০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

থ্যালাসেমিয়া কেন্দ্র
এক ছাতার তলায় থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় ও চিকিৎসাকেন্দ্র চালু হল বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে। মঙ্গলবার বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে এর উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর সুজিত করপুরকায়স্থ জানান, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের বিয়ে ও সন্তান ধারণের আগে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও থাকছে। অন্য দিকে, এ দিন থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এক আলোচনার আয়োজন করে পার্ক স্ট্রিটের একটি হাসপাতাল। বিশেষ জনগোষ্ঠীতে থ্যালাসেমিয়ার প্রকোপ কেমন আকার নেয়, সে নিয়ে বলেন বক্তারা। হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর আশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে থ্যালাসেমিয়ার প্রকোপ খুব বেশি। প্রতি বছর আড়াই হাজার শিশু এই রোগ নিয়ে জন্মাচ্ছে। সহজে না সারলেও রোগটির নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।”

অসুস্থ ২০
দই থেকে বিষক্রিয়ার জেরে ২০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালদহের কালিয়াচকের মোজমপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। অসুস্থদের কালিয়াচক ও মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। কালিয়াচক ১ বিডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী জানান, মঙ্গলচন্ডী পুজো উপলক্ষে স্থানীয় কয়েক জন দোকান থেকে মিষ্টি দই কিনেছিলেন। সেই দই খেতেই বমি-পায়খানা শুরু হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.