|
|
|
|
প্রসূতির মৃত্যু নিয়ে তুলকালাম বসিরহাটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার তুলকালাম হল বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে রোগীর বাড়ির লোকজন মারধর করেন হাসপাতালের দুই নার্সকে। ভাঙচুর হয় চিকিৎসার সরঞ্জাম। সাংবাদিকদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ করেছেন। রোগীর আত্মীয়রাও চিকিৎসায় গাফিলতি ও মারধরের পাল্টা অভিযোগ করেছেন। যদিও সুপার সুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য, “রোগিণীর চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল না। রোগী অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে ডেকে পাঠানো হলে তিনি কলকাতায় নিয়ে যেতে বলেন। তা সত্ত্বেও দু’জন নার্সকে মারধর করা হয়।”
আহত দু’জন নার্সের এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকার বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সময়ে অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করতে না-পারায় রোগিণীর মৃত্যুতে নার্সদের মারধর করা হয়েছে। হাসপাতালের দু’একজন কর্মীর বিরুদ্ধে রোগীর বাড়ির লোকদের মারধরের অভিযোগও পাওয়া গিয়েছে। ৫ জন গ্রেফতার হয়েছে। সাংবাদিকদের উপরে যারা হামলা চালায় তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।”
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, সোমবার হাসনাবাদের রামেশ্বরপুরের মনিফুদ্দিন গাজির অম্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জাহানারা বিবি (১৯) হাসপাতালে ভর্তি হন। অস্ত্রোপচার করে তাঁর একটি পুত্রসন্তান হয়। রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসক রোগীকে কলকাতায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু বাড়ির লোকজন সময়মতো অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করতে না পারায় রাত তিনটে নাগাদ মারা যান জাহানারা বিবি। মঙ্গলবার সকালে রোগীর আত্মীয়রা দেহ নিতে এসে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালের জিনিসপত্র ভাঙচুর করতে থাকেন। পারমিতা চক্রবর্তী ও মিতু ভট্টাচার্য নামে দুই নার্সকে মারধর করেন।
নার্সদের মারধরের প্রতিবাদে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী রোগীর বাড়ির লোকেদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। সাংবাদিকেরা হাসপাতালে গেলে সুপারের নির্দেশে তাঁদের উপরে কয়েকজন হামলা চালায়। কয়েকজন চিত্রসাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে এই আচরণের জন্য সুপার ক্ষমা চেয়ে বলেন, “এটা ঠিক হয়নি।” |
|
|
|
|
|