গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (জিটিএ) তরাই-ডুয়ার্সের অন্তর্ভুক্তির চেষ্টার বিরোধিতায় ডিওয়াইএফআইকে ডুয়ার্সের নাগরাকাটায় সভা করার অনুমতি দিল না পুলিশ-প্রশাসন। আগামী ১২ মে ডুয়ার্সের নাগরকাটার ইউরোপিয়ান ময়দানে ওই সভায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুর যোগ দেওয়ার কথা। পাশাপাশি, রাজ্য জুড়ে শুরু হওয়া সংগঠনের একটি সাইকেল র্যালিও ওই দিন নাগরকাটায় পৌঁছনোর কথা ছিল। র্যালিকেও ঢোকার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। তাই ডিওয়াইএফআই সভার কর্মসূচি বাতিল করেছে। তবে সেদিনই বাম মনোভাবাপন্ন ‘আদিবাসী অধিকার রক্ষা রাষ্ট্রীয় মঞ্চের’ ঘরোয়া সভায় যোগ দেওয়ার কথা বিমানবাবুর। সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সলিল আচার্য বলেন, “রাজ্য সরকার বিরোধী শক্তির কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছেন। তাই জনসভার অনুমতি মিলল না। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন হবে।” জিটিএ নিয়ে কোনও সভা করলে এলাকা উত্তপ্ত হতে পারে, এই সম্প্রতি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে অনুমতি দেয়নি পুলিশ-প্রশাসন। সে জন্য বিমল গুরুঙ্গ ডুয়ার্সে সভা করতে পারেননি। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “ডুয়ার্সের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা কাউকেই জনসভার অনুমতি দিচ্ছি না। ঘরোয়া সভা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।” ডিওয়াইএফআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সভার অনুমতি না-দিলেও ঘরোয়া সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। সিপিএমের নাগরাকাটার জোনাল সম্পাদক রামলাল মুর্মু বলেন, “প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় সভা হচ্ছে না। তবে বিমানবাবু ১২ মে নাগরকাটায় আসবেন। তিনি একটি সংগঠনের ঘরোয়া সভায় যোগ দেবেন।” ডিওয়াইএফআই-র মালবাজারের জোনাল সম্পাদক দেবজিৎ গুহ চৌধুরী বলেন, “আপাতত অনুমতি না মেলায় সভা হচ্ছে। পরবর্তীতে তা করা হবে।” এদিন মোর্চা নেতৃত্বাধীন যৌথ মঞ্চের তরফে রাজু বারা বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে সভার অনুমতি দেওয়া হলেই আমরা প্রতিবাদে রাস্তা নামব। তবে ডিওয়াইএফআআই-র সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। প্রশাসন সভা না করতে দেওয়ার যে নীতি নিয়েছে আমরা তার বিরোধী।” |