হালিশহরে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক জনকে। পুলিশের দাবি, তীর্থঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ধৃত ওই যুবক জেরায় পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল কর্মী। দলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশেরও বক্তব্য, গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীর হয়ে হালিশহর এলাকায় প্রচারে দেখা গিয়েছিল তীর্থঙ্করকে।
তৃণমূল বিধায়ক তথা রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায় অবশ্য দাবি করেছেন, তীর্থঙ্করের সঙ্গে তাঁদের দলের কোনও যোগ নেই। খুনের ঘটনায় সিপিএম এবং মাওবাদীদের হাত আছে বলে নিজের যুক্তিতে অনড় তিনি। ব্যারাকপুরের অতিরিক্ত ডিসি অমিতকুমার সিংহ বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে ঝামেলার জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল। এক জন ধরা পড়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
শনিবার রাতে হালিশহরের বাণীমন্দির এলাকায় তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসের সামনে দলের কিছু কর্মীর সঙ্গে গোলমাল বাধে এক দল যুবকের। কয়েক জন তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে-কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় ওই যুবকেরা। পরে হাসপাতালে মারা যান দুলাল বর্মন নামে বছর আটচল্লিশের এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। খুনের অভিযোগে ১২ জনের নামে বীজপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন দুলালবাবুর আত্মীয়েরা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার ভোরে বাণীমন্দির এলাকার বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে তীর্থঙ্করকে।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একটি অংশের দাবি, দীনেশ ত্রিবেদীকে সরিয়ে মুকুল রায় রেলমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই হালিশহর-কাঁচরাপাড়া এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে। মুকুলবাবু নিজে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে একাধিক বৈঠক করলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি সামলানো যায়নি। সোমবার রাতে নিহতের বাড়িতে এসেছিলেন রেলমন্ত্রী। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁরও দাবি, ‘‘মাওবাদী ও সিপিএমের যোগসাজশেই খুনের ঘটনা ঘটেছে।” |