যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ জন গরু পাচারকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ ও বিএসএফ। আটক করা হয়েছে ৬৮টি গরু। ৩টি ট্রাক এবং ৩৬ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে বনগাঁর চাঁপাবেড়িয়াতে বনগাঁ-চাকদহ সড়কে ওই তিন জন ধরা পড়ে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম রিয়াজুল মণ্ডল, আজমেল মণ্ডল এবং সাহাবুদ্দিন মণ্ডল। সকলেরই বাড়ি গোপালনগর থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির পাণ্ডুয়া থেকে তিনটি ট্রাকে গরুগুলিকে চাপিয়ে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে পুলিশ ও বিএসএফ ওৎ পেতে থাকে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, গাইঘাটার তিলির মাঠ সীমান্ত দিয়ে গরুগুলি পাচারের পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। পাণ্ডুয়া থেকে গরু নিয়ে এলে ট্রাকের চালক পান ৫ হাজার টাকা। ধৃতেরা ‘ক্যারিয়ার’। এরা মাথাপিছু ১৫০০ টাকা পায়। বাংলাদেশে একটি গরু বিক্রি হয় ৪০-৪৫ হাজার টাকায়। বাংলাদেশী পাচারকারীরা এ দেশে ঢুকে গরু নিয়ে যায়। বঁধা দিতে গেলে গ্রামবাসীদের মারধর করা হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গরু নিয়ে যাওয়ার ফলে খেতের ফসল নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু পাচারকারীদের ভয়ে প্রতিবাদের সাহস পান না তাঁরা। পুলিশের দাবি, পাচারকারীদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়।
অন্য দিকে বিএসএফের ৩৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ঘোনার মাঠ এবং আংরাইল ক্যাম্পের জওয়ানরা বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ৮৬টি গরু উদ্ধার করেছেন। ধৃত এক পাচারকারী বলে, “সংসারে অভাবের জন্য সম্প্রতি এই কাজে নেমেছি। দিন মজুরের কাজ করি। মঙ্গলবার থেকে খেতে ধান কাটার কথা ছিল।” |