নাচ, গান, কবিতা, আবৃত্তি, নাটক, প্রভাতফেরি এবং ফুল ও আলোকমালায় মঙ্গলবার রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালিত হল বসিরহাটে। মহকুমার থানাগুলিকে আলো দিয়ে সাজানো হয়েছিল। বিভিন্ন পঞ্চায়েতে কবিপ্রণামে নান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বসিরহাট সংশোধনাগারে বহিরাগত শিল্পীদের সঙ্গে বন্দিরাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
এ দিন সকালে বসিরহাট পুরসভার পক্ষ থেকে পুরপ্রধান কৃষ্ণা মজুমদার টাউনহল চত্বরে কবিগুরুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন। |
বসিরহাট থানায় পুলিশকর্মীদের উপস্থিতিতে বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকার কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া থানায় আলো দিয়ে সাজানো হয়। স্বরূপনগর বিডিও-র অফিস চত্বরে পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে কবিগুরুর মূর্তিতে মালা দেন স্থানীয় বিধায়ক বীণা মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন বিডিও অরুণাভ পাল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নারায়ণ গোস্বামী প্রমুখ। বসিরহাট মহকুমা প্রশাসন এবং কখ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে স্থানীয় রবীন্দ্রভবনে কবিপ্রণাম অনুষ্ঠিত হয়। হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জ থানায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। |
এ দিন বসিরহাটে ইছামতী নদীর ধারে পার্কে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় নাগরিক সমিতির পরিচালনায় হিঙ্গলগঞ্জ কমিউনিটি হলে রবীন্দ্রজন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাড়াও এলাকারা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে নাচ-গান-আবৃত্তি, রবীন্দ্রগীতিআলেখ্য অনুষ্ঠিত হয়। হাড়োয়া, মিনাখাঁ ও সুন্দরবন লাগোয়া হেমনগর উপকূলবর্তী থানায় এ দিন সকাল থেকেই রবীন্দ্রবিষয়ক নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সন্দেশখালি, দেগঙ্গা থানায় কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। বাদুড়িয়া, হাড়োয়া, দেগঙ্গায় শিশু-কিশোরদের নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। |