কারও হাতে বাড়ির গাছের কাঁঠাল, কারও হাতে ডাব, কেউ আবার ঝুড়ি বোঝাই করে এনেছেন আম, জাম। মানতের ফুল-ফলে উপচে উঠছে দুধ-পুকুর।
ডোমকলের ধুলাউড়ি এলাকায় বৈশাখের প্রতি মঙ্গলবার বসে মস্তরামের মেলা। ফাঁকা মাঠে দুটো বটগাছের তলায় জমে ওঠে প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই মেলা।
বাউল গান, ভেপু, আর রকমারি খেলনা মাতিয়ে রাখে আট থেকে আশি সকলকেই। মেলা নিয়ে বিভিন্ন গল্প প্রচলিত আছে গ্রামের মানুষের মুখে মুখে। ওই গ্রামের প্রবীন বাসিন্দাদের মুখে শোনা যায়, মস্তরাম নামে এক সন্ন্যাসীর নামেই নামকরণ হয়েছে ওই এলাকা ও মেলার। খয়রামারি বিল ও মস্তরাম জলার ধার ঘেঁষে রয়েছে মস্তরামের নামে আশ্রম। জনা কয়েক সাধুর পরিচর্যায় ওই আশ্রম জুড়ে তৈরি হয়েছে ফুলের বাগান। বট গাছের তলায় পাশাপাশি রয়েছে দরগা ও মন্দির। মেলায় চলছে সাধুদের গান। সব মিলিয়ে মেলার পরিবেশ যেন মিলনের পরিবেশ। |
মস্তরাম ধামের দেখভাল করেন নবীন সাধু। তিনি বলেন, “সারা বছরই কমবেশি মানুষের ভিড় থাকলেও বৈশাখের মেলায় ভিড় হয় সবচেয়ে বেশি। শুধু ডোমকল নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এবং নদিয়ার মানুষ আসেন এই মেলায়।” দুপুরের চড়া রোদেও কমতি নেই লোকের। জলঙ্গির মিতালি সাহা বলেন, “সুন্দর পরিবেশের টানেই বারবার আসি। তাছাড়া শুনেছি এখানে মানত করলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। তাই বাবার কাছে আসা।” মঙ্গলবার মেলায় গিয়েছিলেন ডোমকলের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৌমেন দত্ত। তিনি বলেন, “এই মেলায় এখনও মাটির গন্ধ আছে। তাই আসা। এলাকার উন্নয়নের জন্যও চেষ্টা করছি। তবে জমি নিয়ে বিতর্ক থাকায় ধাম এলাকার উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে।” |