|
|
|
|
মহমেডানের স্ট্যানলি এ বার মোহনবাগানে |
প্রীতম সাহা • কলকাতা |
ওডাফা-টোলগের পাশে মোহনবাগানের হয়ে খেলবেন নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড স্ট্যানলি ওকোরোইগি। বিশাল চমক, সন্দেহ নেই। কেননা এই নাইজিরিয়ান চার বছর ধরে পড়ে রয়েছেন কলকাতা ময়দানেই। এ বার খেলতেন মহমেডানে। প্রথম ডিভিশনের কোনও ক্লাবে নয়। এর আগে দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব সাদার্ন সমিতির স্টপার ইচে-কে নিয়েছে মোহনবাগান। তার পরে আর এক দ্বিতীয় ডিভিশনের ফুটবলার নেওয়া হল। সম্ভবত টোলগে-ওপারার পিছনে চার কোটি টাকা বেরিয়ে যাওয়ায় মোহনবাগান আর বড় নামের পিছনে ছোটেনি।
ছ’বছর আগে অলোক মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই পোর্ট ট্রাস্টে আত্মপ্রকাশ ঘটে স্ট্যানলির। তার পরে প্রায় চার বছর কলকাতা ময়দানে গা ঘামালেও, সাফল্যের আলো দেখতে পারেননি। মাঝে একটা সময় দিল্লির ক্লাবে, তার পরে রঘু নন্দীর এরিয়ান। কিন্তু সেখানেও তাঁর ভাগ্যে ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু জোটেনি। অবশেষে নাইজিরিয়ানকে দিশা দেখান সেই অলোকই। গত বছর মহমেডানে এসেই তাঁর নতুন জন্ম হয়। দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ এবং কলকাতা লিগ মিলিয়ে মোট ১২টা গোল করে মোহনবাগানের দরজা খুলে ফেললেন তিনি। অলোক বললেন, “ও খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। এত দিন প্রতিভার যোগ্য সম্মান পায়নি। মোহনবাগান ভাল করেছে ওকে নিয়ে।”
এদিকে মোহনবাগানে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক দিনক্ষণ ঠিক করে ফেললেন টোলগে ওজবে। সব ঠিক ঠাক চললে, লম্বা ছুটি কাটাতে বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ার আগেই ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার কথা সরকারি ভাবে ঘোষণা করবেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার। মোহনবাগান কর্তাদের সঙ্গে বসে। |
|
স্ট্যানলির গায়ে এ বার নতুন জার্সি। |
নিজের হাবভাবে টোলগে আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, তিনি আর ইস্টবেঙ্গলে থাকতে চাইছেন না। টোলগেকে রাজি করানোর দায়িত্ব যাঁকে দেওয়া হয়েছিল, সেই ট্রেভর জেমস মর্গ্যানও ব্যর্থ। আর সে জন্যই হয়তো মঙ্গলবার যুবভারতীর আবহাওয়ায় তীব্র মান-অভিমানের ছবি ফুটে উঠল। টোলগে স্টেডিয়াম ছাড়লেন ‘একলা চলো রে’র মনোভাব নিয়ে। অনুশীলনের পরে লাল-হলুদ কর্তা থেকে ফুটবলার, কেউই তাঁর কাছাকাছি ঘেঁষলেন না। ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে সোজা উঠে গেলেন গাড়িতে। এ সবের মাঝে অবশ্য একটা কথা বলে গেলেন, “ওডাফা বা র্যান্টির পাশে খেলা গর্বের ব্যাপার। ভারতে খেলতে আসা সব বিদেশি ফুটবলারই তাদের সঙ্গে একবার খেলতে চায়। আমিও চাই।”
টোলগেকে আর পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই ধরেই নতুন বিদেশির খোঁজে নেমে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। ফুটবলারদের একাংশ চাইছেন চিডিকে। নাম উঠছে মুম্বই এফসি-র স্ট্রাইকার ফ্রাইডেরও। এশীয় কোটায় কেইন ভিনসেন্টের কথা ভাবলেও, চিনে ভাল প্রস্তাব আছে তাঁর। তবে শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলে টোলগের পরিবর্তে কে আসবেন, তা নিয়ে জট এখনও কাটছে না। যদিও মর্গ্যান এ দিন বললেন, “টোলগে থাকুক, না থাকুক তাতে ইস্টবেঙ্গলের কোনও অসুবিধা হবে না। ও পেশাদার ফুটবলার। যে কোনও জায়গায় খেলতে পারে। আমরা নতুন বিদেশির খোঁজ করছি।”
|
|
|
|
|
|