|
|
|
|
চেন্নাই থেকে আইপিএল ফাইনাল সরানোর জল্পনা |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ম্যাচের পর ম্যাচ চেন্নাইয়ের মাঠ ভরানো যাচ্ছে না বলে আইপিএল ফাইনাল এবং এলিমিনেটর অন্য শহরে সরাতে পারে ভারতীয় বোর্ড। বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে ইডেন-সহ আরও চারটে স্টেডিয়ামওয়াংখেড়ে, কোটলা, পুণের সুব্রত রায় স্টেডিয়াম এবং চিন্নাস্বামী।
আইপিএল ফাইভে অন্যান্য শহরের মাঠ প্রায় ভরে গেলেও চেন্নাই পুরসভার অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে চিপকের প্রায় বারো হাজার টিকিট বিক্রি করা যাচ্ছে না। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কেউ মুখ না খুলতে চাইলেও ২৫ এবং ২৭ মে-র ম্যাচ সরানোর কথা ভাবছে বোর্ডের একাংশ। “এ বারের আইপিএলে সব শহরেই মাঠে প্রচুর দর্শক এসেছে। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনাল যদি অর্ধেক ফাঁকা মাঠে হয় তা হলে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তাই চেন্নাই থেকে ওই দুটো ম্যাচ সরানোর কথা ভাবা হচ্ছে,” বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন। আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্ল অবশ্য বলছেন, “আমি যতটুকু জানি, ম্যাচ সরানোর কোনও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে না।” ইডেনে আইপিএল ফাইনাল আসার কোনও খবর আপাতত সিএবি-র কাছেও নেই। এ দিন এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সিএবি কর্তারা। কিন্তু ফাইনাল পাওয়ার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বলা হচ্ছে, সরকারি ভাবে কোনও বার্তা বোর্ড থেকে এলে তখন ভাবা যাবে।
২০১১ বিশ্বকাপের জন্য ঢেলে সাজানো হয় চিপক স্টেডিয়াম। কিন্তু গত অক্টোবর থেকেই পুরসভা তিনটে স্ট্যান্ড ‘সিল’ করে দেয়। বলা হয়, ওই তিনটে স্ট্যান্ডের জন্য অনুমোদন পায়নি চিপক। তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আইপিএল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল, প্রথম কয়েকটা ম্যাচের মধ্যেই পুরসভার অনুমতি পাওয়া যাবে। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর এক মাস কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত সেই অনুমতি আসেনি। “ম্যাচ সরানো হলে এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কারণ নতুন মাঠে ম্যাচ করতে গেলে অনেক আয়োজন করা দরকার,” বোর্ডের ওই কর্তা বলেছেন। আইপিএলের সরকারি সম্প্রসারণ সংস্থাও ফাঁকা মাঠে ফাইনাল করা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, আইপিএল টিকিটের এত চাহিদা যে কেকেআর মালিক শাহরুখ খানও তাঁর বন্ধুদের জন্য যথেষ্ট টিকিট পাননি। সেখানে চেন্নাই মাঠ দিনের পর দিন প্রায় ফাঁকা পড়ে থাকায় স্বভাবতই চিন্তায় বোর্ড।
|
|
|
|
|
|