|
|
|
|
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে কড়া ‘চাচা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দলের গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকাতে শেষমেশ হস্তক্ষেপ করলেন প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহনপাল। তাঁর উদ্যোগেই মঙ্গলবার বিবাদমান দু’পক্ষের নেতৃত্ব মুখোমুখি বৈঠকে বসেন। খড়্গপুরে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। দল সূত্রে খবর, দু’পক্ষকেই চাচা জানিয়ে দেন, এ ভাবে মতানৈক্য প্রকাশ্যে এনে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা যাবে না। সমস্যা হলে নেতৃত্বকে জানাবেন। প্রয়োজনে দলের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা হবে। শহর কংগ্রেস সভাপতি অমল দাস বলেন, “বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। একটা সমস্যা হয়েছিল। এ দিন তা মিটে গিয়েছে।”
গত বৃহস্পতিবার সকালে খড়্গপুর আইআইটি সংলগ্ন পুরী গেটের কাছে কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বেশ কয়েকজন জখম হন। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানায়। ৫ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি’র এক সভা ঘিরেই গোলমাল বাধে সে দিন। সভা আয়োজন করেছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর সনাতন যাদব ও তপন বসুর অনুগামীরা। সভা চলাকালীন যাঁরা হামলা চালান, তাঁরা প্রাক্তন কাউন্সিলর অযোধ্যাপ্রসাদ শঙ্করের অনুগামী বলে অভিযোগ। সামনে আসে ‘সিন্ডিকেট’ প্রসঙ্গও। অভিযোগ, খড়গপুর আইআইটি’র মধ্যে মালপত্র সরবরাহ থেকে শ্রমিক নিয়োগকার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মতানৈক্য ছিলই। আইএনটিইউসি’র সভা ঘিরে সেই বিরোধ প্রকাশ্যে এসে পড়ে। ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে স্থানীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেন।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সনাতন যাদব, তপন বসু, অযোধ্যাপ্রসাদ শঙ্কর প্রমুখ। ছিলেন শহর কংগ্রেস সভাপতি অমল দাসও। বৈঠকে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। তাতে দুই গোষ্ঠীর নেতারাই আছেন। শহর কংগ্রেস সভাপতি বলেন,“ বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। সকলেই দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলবেন বলে জানিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|