গাড়ি পরীক্ষা না করিয়েই দূষণমুক্ত সার্টিফিকেট মিলছে শিলিগুড়িতে। সম্প্রতি দূষণ সংক্রান্ত সার্টিফিকেট পরীক্ষার সময়ে এ তথ্য পেয়েছে শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশ। ইতিমধ্যেই ১০টি গাড়ি আটক করা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, গাড়ির দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সার্টিফিকেট রয়েছে। অথচ ওই গাড়িগুলি শহরে দূষণ ছড়াচ্ছে। পরিবহণ দফতর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনুমোদিত সংস্থাগুলিরই একাংশ ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের সন্দেহ। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, “সব গাড়িতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের সার্টিফিকেট রয়েছে কি না তা জানতে ধারাবাহিক অভিযান চলছে। অনেকেই আইন না মেনে সার্টিফিকেট নিয়ে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ যে সংস্থাগুলি যান পরীক্ষা না-করে সার্টিফিকেট দিচ্ছে তাদের লাইন্সেস বাতিল করার সুপারিশ করা হবে। পরিবহণ দফতরে শিলিগুড়ির মহকুমা আধিকারিক রাজীব সুনদাস বলেন, ‘‘ওই বিষয়টি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেখার কথা। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব। পাশাপাশি আমরাও অভিযান চালাব।” পক্ষান্তরে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দাবি, ওই সংস্থাগুলির অনুমোদন দেয় পরিবহণ দফতর। কাজেই বিধি মেনে সাটির্ফিকেট দেওয়া হচ্ছে কি না তা পরীক্ষা করার দায়িত্ব পর্ষদের। শিলিগুড়ি শহর এবং সংলগ্ন মাটিগাড়া, ফুলবাড়ি মিলিয়ে প্রায় ২৫টি অনুমোদিত সংস্থা রয়েছে। এরাই দূষণ নিয়ন্ত্রণ সার্টিফিকেট দেয়। একবার দূষণ পরীক্ষা করাতে ১০০ টাকা নেওয়া হয়। ছয় মাস পর পর ওই পরীক্ষা করা হয়। সঠিক নিয়ম মেনে চললে দুই বছর পরেই অনেক গাড়ির ইঞ্জিন পাল্টাতে হয়। একবার ইঞ্জিন পাল্টাতে গেলে অনেক টাকা লাগে। সেক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে দূষণ সংক্রান্ত সার্টিফিকেট নিয়ে কাজ হাসিলের চেষ্টা হচ্ছে বলে পুলিশের অনুমান। শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর হেমন্ত দাসের নেতৃত্বে গত কয়েকদিন ধরেই দূষণ নিয়ন্ত্রণের সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখতে অভিযান শুরু হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের একাধিক অফিসার জানান, অনুমোদিত সংস্থার ওই সার্টিফিকেট দেখে থাকলেও গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া বার হলে বোঝা যায় দূষণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। গাড়ির মালিকদের একাংশের যুক্তি, দূষণ পরীক্ষার সার্টিফিকেট পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইঞ্জিন খারাপ হলে কালো ধোঁয়া বেরোতে পারে। |