কালজানি নদীর পাড় থেকে জঞ্জাল তুলে তা কিছুটা দূরেই ফেলা হচ্ছে। ওই ঙটনায় সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিছুদিন আগে সেচ দফতর ও পুরসভা যৌথ ভাবে কালজানি সেতুর নিচে জমে থাকা আবর্জনা সরিয়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়। প্রথমে ওই জঞ্জাল তুলে অন্যত্র ফেলা হলেও বর্তমানে তা মাত্র কয়েক মিটার দূরে নদীর চরেই ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে সেচ দফতর ও পুরসভার কর্তারা একে অপরের উপর দোষ চাপিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ। আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কালজানি নদীর সেতুর নিচে বেশ খানিকটা জায়গায় জঞ্জাল জমে যাওয়ায় তা পরিস্কার করতে সেচ দফতরকে পুরসভা সাহায্য করছে। তিনি বলেন, “যেহেতু পুরসভার নিজস্ব ডাম্পিং গ্রাউন্ট নেই তাই আপাতত সেতুর তলা থেকে ওই জঞ্জাল সরিয়ে কিছুটা দূরে রাখা হচ্ছে। পুরসভার পক্ষ থেকে ২৯ বিঘা জমি কেনা হয়েছে। সেখানে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘নো অবজেকশন’ পেলে সেখানে আবর্জনা নিয়ে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ শুরু করা হবে।”
সেচ দফতরের আলিপুরদুয়ারের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার নির্মল বর্মনের বক্তব্য, প্রায় ১৩০ মিটার লম্বা কালজানি নদীর সেতুর নিচে বেশ খানিকটা অংশ জুড়ে জঞ্জালের ঢিপি তৈরি হয়েছে। এতে বর্ষাকালে নদীর জল কালজানি নদীর তলা দিয়ে বয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। সেজন্য পুরসভার সাহায্যে যৌথ ভাবে ওই আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, “ঠিক হয়েছে, আমাদের দফতর ওই আবর্জনা পুরসভার গাড়িতে তুলে দেবে। পুরসভা তা নিদিষ্ট জায়গায় ফেলবে। পুরসভা ওই জঞ্জাল কোথায় ফেলছে সেটা আমাদের জানা নেই।” আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের চেয়ারম্যান অমল দত্ত বলেন, “পুরসভা ও সেচ দফতরের কালজানি নদীর সেতুর তলা থেকে জঞ্জাল সরানোর উদ্যোগ প্রশংসনীয় ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে ওই জঞ্জাল সেতুর নিচ থেকে সরিয়ে কিছুটা দূরে নদীর চরেই ফেলা হচ্ছে। এতে সরকারি অর্থের অপচয় এবং ফের নদী দূষণের ঘটনা ঘটছে।” তাঁর অভিযোগ, জঞ্জাল সরানোর বড় মেশিন, ট্রাক্টর কাজে লাগানো হচ্ছে তা সরকারি অর্থ ব্যয় করেই। ওই জঞ্জাল নদীর চরে ফেলায় তা ফের নদীর জলে মিশছে। ফলে জলজ উদ্ভিদ ও মাছদের ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পষর্দকে জানাব। প্রয়োজনে আইনের দারস্থ হব। |