নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
নদীতে তলিয়ে যেতে বসেছে জগৎবল্লভপুরের মাজু পঞ্চায়েতের ছোতুরহানা শ্মশানঘাট ও উত্তর মাজু বাঙালের ঘাটটি। এলাকার মানুষের আশঙ্কা, যে ভাবে কানা দামোদর পাড় ভাঙছে তাতে এই মুহূর্তে সেচ দফতর সচেতন না হলে শ্মশান ঘাট দু’টি নদীগর্ভে চলে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাজু পঞ্চায়েতের ৭টি গ্রামের লোক এই ছোতুরহানা শ্মশানঘাটে আসেন। স্থানীয় পাইকপাড়া, ঘোষালবাটি, ব্রাহ্মণপাড়া, দীর্ঘাঙ্গীপাড়া, ভুলপাড়া, দোয়ারিপাড়া, পালপাড়া থেকে এই শ্মশানে এসে শবদাহ করা হয়। সেচ দফতরের অবহেলায় ঘাটটি বেহাল হয়ে পড়েছে।
ছোতুরহানা শ্মশানঘাটের কাছেই বাড়ি তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, “আশপাশের অন্তত ৭টি গ্রামের লোক এখানে আসেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ঘাটের সংস্কার হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই ঘাট জলে ডুবে যায়। চুল্লি ব্যবহার করা মুশকিল হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় অনেক সময়েই রাস্তার উপর অস্থায়ী ভাবে শবদাহ করা হয়। এ ছাড়া তো উপায়ও থাকে না!” |
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর শাখার তালপুর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের কাজ খতিয়ে দেখতে
মঙ্গলবার
তারকেশ্বরের টাকিপুরে যান পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার জ্ঞানচন্দ্র অগ্রবাল (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)।
শীঘ্রই এই লাইনে
ট্রেন চালু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রেল-কর্তারা। প্রথমবার রেলমন্ত্রী হওয়ার পরে
তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর
পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথের
শিলান্যাস করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র |
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর শাখার তালপুর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে খুব শীঘ্রই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। মঙ্গলবার পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার জ্ঞানচন্দ্র অগ্রবাল কাজের অগ্রগতি দেখতে সেখানে আসেন। প্রথমবার রেলমন্ত্রী হবার পরে তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর ওই শাখায় রেলের কাজে সেই ভাবে গতি ছিল না। এরপর তিনি কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার রেলমন্ত্রী হাবার পর নতুন ওই শাখায় ট্রেন চলানোর লক্ষ্যে কাজে গতি বাড়ে। এর আগেই ২০১০ সালে পর্যায়ক্রমে ওই শাখার তারকেশ্বর থেকে তালপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। একই ভাবে বিষ্ণুপুরের দিক থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এ বার তালপুর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের জন্য লাইন তৈরির কাজ বর্তমানে একেবারে শেষ পর্যায়ে। এ দিন জেনারেল ম্যানেজার সহ রেলের অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকেরা ওই দীর্ঘ রেল ঘুরে কাজ খতিয়ে দেখেন। দ্রুত ওই শাখায় ট্রেন চালানোর লক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রেলপথ তৈরিতে মোট ১৭৫ কোটি টাকা খরচ হবে। তালপুর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত মোট তিনটি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলি হল টাকিপুর, মায়াপুর এবং আরামবাগ। নদী বহুল আরামবাগ মহকুমায় নতুন ওই রেলপথে মোট সাতটি বড় সেতু তৈরি করা হয়েছে নদীর উপর। ৪৪টি ছোট সেতু তৈরি করা হয়েছে। রাস্তার নীচ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ১৬টি সেতু। দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী এবং কানা দ্বারকেশ্বর নদীর উপর বড় সেতু তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। নতুন ওই রেল লাইনে চারটি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতি লেভেল ক্রসিংয়ে প্রহরী রাখা হবে বলে রেল জানানো হয়েছে।
|