নিজস্ব সংবাদদাতা • জগৎবল্লভপুর |
নদীতে তলিয়ে যেতে বসেছে জগৎবল্লভপুরের মাজু পঞ্চায়েতের ছোতুরহানা শ্মশানঘাট ও উত্তর মাজু বাঙালের ঘাটটি। এলাকার মানুষের আশঙ্কা, যে ভাবে কানা দামোদর পাড় ভাঙছে তাতে এই মুহূর্তে সেচ দফতর সচেতন না হলে শ্মশান ঘাট দু’টি নদীগর্ভে চলে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাজু পঞ্চায়েতের ৭টি গ্রামের লোক এই ছোতুরহানা শ্মশানঘাটে আসেন। স্থানীয় পাইকপাড়া, ঘোষালবাটি, ব্রাহ্মণপাড়া, দীর্ঘাঙ্গীপাড়া, ভুলপাড়া, দোয়ারিপাড়া, পালপাড়া থেকে এই শ্মশানে এসে শবদাহ করা হয়। সেচ দফতরের অবহেলায় ঘাটটি বেহাল হয়ে পড়েছে।
ছোতুরহানা শ্মশানঘাটের কাছেই বাড়ি তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, “আশপাশের অন্তত ৭টি গ্রামের লোক এখানে আসেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ঘাটের সংস্কার হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই ঘাট জলে ডুবে যায়। চুল্লি ব্যবহার করা মুশকিল হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় অনেক সময়েই রাস্তার উপর অস্থায়ী ভাবে শবদাহ করা হয়। এ ছাড়া তো উপায়ও থাকে না!” |
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। |
একই অবস্থা উত্তর মাজু বাঙালের ঘাটটির। ওই এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “কানা দামোদরের ভাঙনে এখানের বহু জায়গা নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। উত্তর মাজু, ঘোষপাড়া, চুনুরিপাড়া, যাদববাটি, রজকপাড়া, কাছারিপাড়া, তাঁতিপাড়া ছাড়া অন্য বহু এলাকা থেকে এই ঘাটে লোক আসে শবদাহ করতে। এ ভাবে ভূমিক্ষয় হতে থাকলে এবং সেচ দফতর দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা না নিলে শ্মশানঘাটের চুল্লি, মন্দির, বসার জায়গা সব নদীতে চলে যাবে।”
মাজু পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তুষার সরকার বলেন, “শ্মশান ঘাটের কাছে কানা দামোদরের ভাঙন মেরামতের জন্য ২০১০ সালে সেচ দফতরে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।” তবে তিনি জানান, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ তহবিলের টাকায় বাঙালের শ্মশানঘাটের রাস্তা, মন্দির ও বসার জায়গা সংস্কার হয়েছিল। এ দিকে সেচ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘাটগুলির সংস্কার, কানা দামোদরের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা মেরামতের ব্যাপারে আপাতত কোনও খবর নেই।
|