শস্য মজুতের ব্যাগ চেয়ে পার্থকে ফোন প্রণবের
বিপাকে পড়ে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের শরণাপন্ন, এমনটাই বরাবরের নিয়ম। আজ হল উল্টো। সংসদে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় টেলিফোন করলেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। রাজ্যের চটকলগুলিতে চটের ব্যাগ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করলেন তিনি।
এ বছর রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। একই সঙ্গে তৈরি হয়েছে মজুতের সমস্যা। বিশেষ করে কেন্দ্র কৃষকদের থেকে এত গম সংগ্রহ করেছে যে তা মজুত করার জায়গা মিলছে না। গত কাল লোকসভায় বিরোধী নেতাদের সমালোচনার মুখে এ কথা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন প্রণব। সুষমা স্বরাজ, শরদ যাদবরা তখনই দাবি তোলেন, কেন্দ্র অন্তত চটের ব্যাগের ব্যবস্থা করুক। তাঁর নিজের রাজ্য মধ্যপ্রদেশে চটের ব্যাগও মিলছে না বলেও অভিযোগ তোলেন সুষমা।
এর পরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন প্রণববাবু। চটকলের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে উৎপাদন বাড়ানোর বন্দোবস্ত করতে বলেন তিনি। প্রয়োজনীয় সংখ্যায় সব রাজ্যে চটের ব্যাগ সরবরাহের ব্যবস্থা করার জন্যও পার্থকে অনুরোধ করেন তিনি। আজ লোকসভায় এ কথা জানিয়ে প্রণব বলেন, দেশের অধিকাংশ চটকলই পশ্চিমবঙ্গে। সে কারণেই তিনি রাজ্যের সঙ্গে কথা বলেছেন। চটকলের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রণববাবু শ্রমিক সংগঠনের নেতাদেরও অনুরোধ জানাবেন।
দেশের বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে চটের ব্যাগ না মিললে তা আমদানি করতে হবে কেন্দ্রকে। তবে খাদ্যশস্য মজুত করার জন্য চটের ব্যাগের বদলে কোনও ভাবেই প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা হবে না বলে আজ জানিয়ে দিয়েছেন প্রণব। প্রণববাবুর বক্তব্য, প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করে আপাতত সমস্যার সমাধান হলেও পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হবে। কিন্তু মজুতের সমস্যা কী ভাবে মিটবে? অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, বাড়তি খাদ্যশস্য রফতানিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে নগদ ভাতার সঙ্গে কিছুটা খাদ্যশস্যও দেওয়া যায়। তা হলেও হিমঘরের উপর চাপ কমবে। সুষমা, শরদ যাদবের অভিযোগ ছিল, এক দিকে মজুতের অভাবে খাদ্যশস্য পচে যাচ্ছে। অন্য দিকে বহু গরিব মানুষ অনাহারে রয়েছেন।
প্রণববাবুর বক্তব্য, এ বছর ২৫ হাজার ৩০০ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে। আগে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদনের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সরকার কৃষকদের থেকে কিনত। কিন্তু গত দু’তিন বছরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বেড়ে যাওয়ার ফলে কেন্দ্র ও রাজ্যের ঘাড়েই খাদ্যশস্য কেনার মূল দায়িত্ব এসে পড়েছে। না হলে কৃষকরা সরকার ঘোষিত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অতিরিক্ত ২ লক্ষ মেট্রিক টন মজুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও মজুতের সমস্যা হচ্ছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.