রাজ্যের দায়িত্বভার হাতে নিয়েই উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ও অপরাধের সখ্যা কমিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন অখিলেশ যাদব। আর সেই লক্ষ্যেই প্রতিবেশী বিহারে, নীতীশ কুমারের ‘মডেল’ খতিয়ে দেখতে রাজ্য পুলিশের একটি দলকে পাঠালেন অখিলেশ।
লালু-রাবড়ী জমানায় বিহার অপরাধের, বিশেষ করে সংগঠিত অপরাধের তুঙ্গে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর নীতীশ বিহারকে একেবারে অপরাধমুক্ত করতে পারেননি ঠিকই কিন্তু কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিহারের অপরাধ জগতে খানিকটা হলেও রাশ টেনেছে। আর সেই ক্ষেত্রে নীতীশের সব থেকে বড় অস্ত্র ‘ফাস্ট ট্রাক’ আদালত। এই ব্যবস্থায় দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে পেরেছে বিহার প্রশাসন। যার ফলে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফাঁকে দাগি অপরাধীরা জামিনে খালাস হয়ে ফের পরের পর যে অপরাধ সংগঠিত করত তার সুযোগ অনেকটাই কমে গিয়েছে।
অখিলেশ যাদব নীতীশের এই দ্রুত বিচার ব্যবস্থাতেই বিশেষ আগ্রহী। দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আইজি (প্রসিকিউশন) বিজয় কুমারের নেতৃত্বে দু’জনের একটি দল বিহারে এসেছেন। তার আগে এই বিষয়ে দুই রাজ্যের ডিজিপি বিষয়টি নিয়ে এক দফা আলোচনাও করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
উত্তর প্রদেশের দলটি এডিজি (সদর) রবীন্দ্র কুমারের সঙ্গে দেখা করেন। দু’পক্ষের এক ঘণ্টার আলোচনায় ‘দ্রুত বিচার’ পদ্ধতি সর্ম্পকে উত্তরপ্রদেশের পুলিশকে ওয়াকিবহাল করা হয়েছে। তাঁরা এই সর্ম্পকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। উত্তরপ্রদেশের আই জি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, “আমরা এই দ্রত বিচার পদ্ধতি কী ভাবে চালানো হচ্ছে মবলত সেটাই দেখতে এসেছি। এই পদ্ধতির সাহায্যে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে ওই সব অপরাধীরা জেলে থেকে যাচ্ছে। ফলে বাইরের জগতে অপরাধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসছে।” বিজয় কুমাররা কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গেও কথা বলেন। এ ছাড়াও সরকারি আইনজীবীদের সঙ্গেও তাঁদের কথা হয়। কী ভাবে ‘ট্রায়াল’ করা হচ্ছে তা জানতেই মূলত সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। বিহারের এডিজি (সদর) রবীন্দ্র কুমার বলেন, “অন্য রাজ্য থেকে এখানকার পুলিশের কাজ দেখতে এসেছেন, এটা আমাদের কাছে গর্বের।” |