নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পাঠ্যপুস্তক অধিগ্রহণ ও বন্টন সংক্রান্ত নয়া সরকারি নীতির ফলে পুস্তক প্রকাশনা ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই আগামী দিনে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন আশঙ্কা প্রকাশ করল পুস্তক ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘জয়েন্ট ফোরাম ফর বুক ট্রেডার্স অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজ’। সংগঠনেরর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখা গঠিত হল সোমবার। এই উপলক্ষে খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর আবাসনে এক সভা হয়। দশ জনের জেলা কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন চন্দন দত্ত ও উমাশঙ্কর রাজ।
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে বিনামূল্যে অভিন্ন পাঠ্যপুস্তক চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব বিষয়ের বই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রকাশ করবে। স্কুলগুলিতে বিনামূল্যে বই বন্টনও করবে পর্ষদ। এর ফলে পুস্তক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ সমস্যায় পড়বেন বলে সংগঠনের অভিমত। চন্দনবাবু বলেন, “রাজ্যের পুস্তকশিল্পে ১৫ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত। পরোক্ষ ভাবে আরও ১০ লক্ষ মানুষের রুজিরোজগার এর উপর নির্ভরশীল। সরকারি ভাবে পাঠ্যবই অধিগৃহীত হলে প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষের আয়ের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারি নীতির ফলে চলতি শিক্ষাবর্ষে ৪০ শতাংশ বই-ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
আগে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে পড়ুয়া পিছু বই কেনার জন্য অনুদান দিত সর্বশিক্ষা মিশন। ওই টাকায় বাজার থেকে পাঠ্যবই কিনত পড়ুয়ারা। রাজ্যের নতুন সরকার সরাসরি বই দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এ বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে ৪টি এবং অষ্টম শ্রেণীতে ৩টি পাঠ্যবই বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আগে যে পরিমাণ অনুদানের টাকা দেওয়া হত, তাতে পড়ুয়ারা সবক’টি বই বাজার থেকে কিনতে পারত। এবার অনুদান বন্ধ করে মাত্র ৩-৪ টি বই দেওয়া হয়েছে। ফলে বাকি বইগুলি পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা নিজেদের গ্যাঁটের খরচে কিনতে বাধ্য হয়েছেন। আগামী শিক্ষাবর্ষে বাকি বইগুলিও সরকারি ভাবে ছাপিয়ে বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর এতেই আপত্তি তুলেছেন পুস্তক ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট মহল। সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে পাঠ্যপুস্তক অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য বিরবণী, আবেদন ও প্রস্তাবসমূহ রয়েছে। |