|
|
|
|
মাঠে বধূর দেহ, পলাতক শ্বশুরবাড়ির লোকজন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
মুরারই থানার ভাদিষ্টা গ্রাম লাগোয়া মাঠ থেকে মঙ্গলবার সকালে এক বধূর মৃতদেহ উদ্ধার হল। এ দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ওই মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। মৃতার নাম তাম্বিয়া বিবি (২১)। বাড়ি মুরারই থানার ধানগড়া গ্রামে। তাম্বিয়া বিবির বাপের বাড়ি একই থানার করমজি গ্রামে।
মৃতার পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা-মা মারা যাওয়ার পর তাম্বিয়াবিবি দাদা ও অন্যান্য বোনেদের কাছে থাকতেন। দু’বছর আগে ধানগড়া গ্রামের খাদেম শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর খাদেম শেখ তাম্বিয়াকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর পরই পেশায় রাজমিস্ত্রি খাদেম তাম্বিয়াকে মুম্বই নিয়ে গিয়েছিলেন। মৃতার দাদা মতিউর রহমানের দাবি, মুম্বইয়ে যাওয়ার পর থেকে দু’জনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তখন থেকেই খাদিম তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। মতিউর বলেন, “মেরে বোনের পা ভেঙে দিয়েছিল খাদেম। মুম্বই থেকে ধানগড়ায় ফিরে আসার পরও বোনের উপর অত্যাচার চালাত।” গত ৫ মে মতিউরের ছেলের বিয়েতে যোগ দিতে এসেছিলেন তাম্বিয়া। তাঁর দাদার অভিযোগ, “পরের দিনই খাদেম আমাদের কোনও কথা না শুনে বোনকে মারতে মারতে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়।” এরপরেই পুলিশ মঙ্গলবার সকালে ভাদিষ্টা গ্রাম লাগোয়া মাঠ থেকে তাম্বিয়ার মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
মৃতার দাদা পুলিশের কাছে বোনকে খুন করা হয়েছে দাবি করে লিখিত অভিযোগ করেছেন খাদেম, তার দুই ভাই এবং তাম্বিয়ার শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার দেহে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ দিকে জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তেরা পলাতক। তাঁদের ধরতে তল্লাশি চলছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে এটি খুনের ঘটনা কি না।” |
|
|
|
|
|