মেয়ের বাড়ির লোকজনের ‘হুমকি’তে বাড়ি ছেড়ে সিউড়িতে আশ্রয় নেওয়া পানাগড়ের দম্পতিকে ঘরে ফেরাল পুলিশ। পানাগড় বাজার বনডিহা মোড়ের বাসিন্দা সুভাষ সাহা ও তাঁর স্ত্রী মেঘাকে মঙ্গলবার বাড়িতে ফেরানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দুই পরিবারকেই থানায় ডেকে বোঝানো হয়েছে।
সুভাষবাবু অভিযোগ করেন, গত বছর ২ ডিসেম্বর বাড়িতে না জানিয়ে পানাগড় বাজার এলাকার গুরুদুয়ারা গলির বাসিন্দা বিজয় অগ্রবালের মেয়ে মেঘা ও তিনি রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। গত ২৮ এপ্রিল মেঘা শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময়ে বিয়ের কথা জানাজানি হয়। |
পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে দম্পতি। ছবিটি তুলেছেন উদিত সিংহ। |
তার পর থেকেই মেঘার বাড়ি থেকে নানা ভাবে তাঁদের হুমকি দেওয়া হতে থাকে বলে সুভাষবাবুর অভিযোগ। তাই দু’জনে সিউড়িতে এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রই নেন।
নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন দাবি করে ওই দম্পতি বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনার দ্বারস্থ হন। বীরভূমের পুলিশ বিষয়টি বর্ধমানের পুলিশ সুপারকে জানায়। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বর্ধমান পুলিশ সুপারের অফিসে পৌঁছন ওই দম্পতি। পুলিশ সুপারের কাছে ঘরে ফেরানোর লিখিত আবেদন জানান তাঁরা। এর পরেই কাঁকসা থানা থেকে আসা পুলিশের গাড়ি তাঁদের নিয়ে পানাগড়ের উদ্দেশে রওনা হয়।
পুলিশ জানায়, সুভাষ ও মেঘার পরিবারের লোকজনকে ডেকে পাঠানো হয় কাঁকসা থানায়। সেখানে তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে আইনগত দিক ব্যাখ্যা করা হয়। আর কোনও গণ্ডগোল হবে না, দুই পরিবারের তরফে এমন প্রতিশ্রুতি মেলার পরে তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। |