|
|
|
|
পুরভোটে বাড়তি ‘জেদ’ তমালিকার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া ও তমলুক |
এই সে দিনও লক্ষ্মণ শেঠ ছিলেন শিল্পশহর হলদিয়ায় ‘শেষ কথা’। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে তিনি এখন জেলে। মিথ্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে হয়রান করা হচ্ছে, এই অভিযোগকে সামনে রেখেই হলদিয়া পুরভোটে লড়তে চলেছেন লক্ষ্মণ-জায়া তথা বর্তমান পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডাশেঠ।
বৃহস্পতিবার আরও ১২ জন সিপিএম প্রার্থীর সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে তমালিকার বক্তব্য, “শুধু লক্ষ্মণ শেঠ নন, আমাদের দলের আরও অনেক নেতা-কর্মীকে সাজানো মামলায় জেল খাটতে হচ্ছে। পার্টি-নেতাদের বিরুদ্ধে বর্তমান রাজ্য সরকারের চক্রান্তই এ বার ভোটে আমাদের লড়াইয়ের জেদ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভোটে মানুষই সব চক্রান্তের জবাব দেবেন।”
|
তমালিকা পণ্ডাশেঠ |
কোঝিকোড়ে পার্টি-কংগ্রেসে যাননি তমালিকাদেবী। তবে পুরভোটে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী লক্ষ্মণ-জায়া জানিয়েছেন, বামফ্রন্টগত ভাবে তাঁরা শিগগিরই প্রচার শুরু করবেন। বাম-শিবির অবশ্য প্রচার এবং ভোটের সময়ে সম্ভাব্য ‘সন্ত্রাস’ নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন। বৃ্হস্পতিবার ১৩ জন সিপিএম প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতেও এসেছিলেন পুলিশি পাহারায়। পুরসভার ২৬টি আসনের বাকিগুলিতে শনিবারের মধ্যেই ৪ সিপিআই প্রার্থী-সহ অন্যেরা মনোনয়ন জমা দেবেন বলে বামফ্রন্ট সূত্রের খবর। বাম-শিবিরে এ বার বেশির ভাগই নতুন মুখ। তমালিকাদেবীও তাঁর পুরনো ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বদলে প্রার্থী হচ্ছেন ১৩ নম্বরে। এই মুহূর্তে হলদিয়া পুরসভায় বাম কাউন্সিলর ১৯ জন, তৃণমূল-জোটের দখলে রয়েছে ৭টি ওয়ার্ড।
পাঁশকুড়া পুর-নির্বাচনেও বৃহস্পতিবার ১১ জন সিপিএম প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। বুধবার ৪ সিপিআই প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। পাঁশকুড়া পুরসভায় এই মুহূর্তে জোটের দখলে রয়েছে ১০টি ওয়ার্ড, বামেদের দখলে ৭টি।
পূর্ব মেদিনীপুরে একমাত্র হলদিয়া পুরসভাই বামেদের নিয়ন্ত্রণে। হলদিয়ায় পালাবদল ঘটানোই এখন তৃণমূলের ‘চ্যালেঞ্জ’। আর বামেদের লক্ষ্য, হলদিয়ায় ক্ষমতা ধরে রেখে পাঁশকুড়ায় পরিবর্তন আনা। হলদিয়া বা পাঁশকুড়াকোথাওই তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে রফাসূত্র তৈরি হয়নি। দু’দলই আলাদা-আলাদা ভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে। দুই পুরসভাতেই ভোট আগামী ৩ জুন। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ৭ মে। |
|
|
|
|
|