বরফ গলার ইঙ্গিত নয়াচর প্রকল্পে। পরিবেশ দূষণ বেড়ে যাওয়ায় গত চার বছর ধরে হলদিয়া, হাওড়া ও আসানসোলের শিল্পাঞ্চলে বড় শিল্প স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক। কিন্তু সম্প্রতি হলদিয়ায় দূষণের মাত্রা কমায় ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গত কাল কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী জয়ন্তী নটরাজনের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তিনি হলদিয়া-সহ নয়াচরে নতুন শিল্প স্থাপনে পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র দেওয়ার অনুরোধ করেন। মন্ত্রকের পক্ষে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে এখনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, গত মাসে পরিবেশ মন্ত্রকের একটি দল হলদিয়া ও সংলগ্ন এলাকা ঘুরে যে রিপোর্ট দিয়েছেন তা ইতিবাচক। মন্ত্রক জানিয়েছে, পরিবেশ দূষণের সূচক সত্যিই বিপদসীমার নীচে থাকলে হলদিয়ায় শিল্প স্থাপনে ছাড়পত্র দিতে আপত্তি থাকবে না।
শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, গত চার বছর ওই ছাড়পত্র না থাকায় রাজ্যের প্রধান তিনটি শিল্পাঞ্চলে কার্যত কোনও বড় শিল্প গড়ে ওঠেনি। এমনকী হলদিয়ায় শিল্প স্থাপনের জন্য বেশ কিছু সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন নিগম থেকে জমি কিনেও পিছিয়ে এসেছে। ওই সাংসদের বক্তব্য, “হলদিয়ায় দূষণ যে কমছে, তা জানিয়ে আমি নটরাজনকে তিনটি চিঠিও দিয়েছি। ওই ছাড়পত্র পেলে হলদিয়া ও সংলগ্ন এলাকায় বিনিয়োগের জোয়ার আসবে। নয়াচর প্রকল্প আটকে থাকার পিছনেও ওই ছাড়পত্রের ভূমিকা রয়েছে।” দিল্লিতে কয়েক মাস আগে শিল্পপতিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে এসে নয়াচরের প্রকল্পের জন্য ছাড়পত্রের তদ্বিরও করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিল্পপতি প্রসূন মুখোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের দাবি, ওই ছাড়পত্র আখেরে রাজ্যে বিনিয়োগের ছবিকেই উজ্জ্বল করবে।
|