নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার হয় না। ফের এই অভিযোগে সরগরম মেদিনীপুর শহর। এই অভিযোগেই বৃহস্পতিবার সকালে পাটনাবাজারে পথ অবরোধও করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ ফাঁড়ির অদূরেই। ভ্যাটের আবর্জনা নিয়ে আসা হল মাঝ-রাস্তায়। দুর্গন্ধ ছড়ানোর ঘটনাও নতুন নয়।ফলে সমস্যায় পড়েন পথচলতি সাধারণ মানুষ। পরে পুর-কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার হয়। পুরসভার অবশ্য দাবি, নিয়মিতই আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু, ইদানীং অনেকে বাড়ির রাবিশও আবর্জনার ভ্যাটে এনে ফেলছেন। ফলে ভ্যাট রাবিশেই ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। তখন আবর্জনা রাস্তায় নেমে আসছে। পাটনাবাজারের ক্ষেত্রেও এমনই ঘটেছে বলে দাবি পুর-কর্তৃপক্ষের। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান-পারিষদ (জঞ্জাল) সুনন্দা খানের বক্তব্য, “এ ক্ষেত্রে সকলকেই সচেতন হতে হবে। পাড়ার ভ্যাট আবর্জনা ফেলার জন্য। রাবিশ ফেলার জন্য নয়।” তাঁর বক্তব্য, “ভ্যাটে রাবিশ ফেললে এ বার থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুরসভা পদক্ষেপ করবে। তাঁর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে। এক জনের জন্য পাড়ার অন্য বাসিন্দারা অসুবিধায় পড়বেন কেন?” |
পুরপ্রধান-পারিষদ যাই বলুন, আবর্জনা ফেলার জন্য মেদিনীপুর শহরে প্রতিটি পাড়াতে ভ্যাট থাকলেও সেগুলি নিয়মিত পরিষ্কার হয় না বলেই অভিযোগ। ফলে প্রায়ই ভ্যাটের আবর্জনা রাস্তায় নেমে আসে। সদর শহরে আবর্জনার এই সমস্যা নতুন নয়। এলআইসি মোড়, কেরানিতলা থেকে শুরু করে মিরবাজার, রাজাবাজার প্রভৃতি এলাকায় প্রায়ই ভ্যাট উপচে আবর্জনা রাস্তায় চলে এসেছে, দেখা যায়। শহরবাসীর বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে পুরসভার আরও ‘তৎপর’ হওয়া উচিত। আবর্জনা ঠিক মতো পরিষ্কার হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য নজরদারিও বাড়ানো উচিত। নজরদারির অভাবেই অপরিচ্ছন্নতা বাড়ছে। পুরসভার অবশ্য বক্তব্য, সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন প্রতিটি ভ্যাট পরিষ্কার করা হয়। পুরপ্রধান-পারিষদের অবশ্য দাবি, “ভ্যাট ঠিক মতো পরিষ্কার হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য নজরদারিও চলে। তবে এখন অনেকেই বাড়ির রাবিশ ভ্যাটে ফেলছেন। ফলে আবর্জনা উপচে রাস্তায় চলে আসছে। এমন পরিস্থিতি যাতে না-হয়, সে জন্য পুরসভা পদক্ষেপ করবে।” পুরসভার বক্তব্য, প্রতিটি ভ্যাট প্রতিদিন পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। কর্মীর অভাব রয়েছে।
মেদিনীপুর শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পাটনাবাজার। পাটনাবাজারের পাশেই রয়েছে জুগনুতলা। এই এলাকা হয়েই চলে গিয়েছে পূর্ত দফতরের রাস্তা। যাতায়াত করে বাস। জুগনুতলা থেকে পাটনাবাজারে ঢোকার রাস্তাতেই বৃহস্পতিবার সকালে অবরোধ হয়। স্থানীয় বাসিন্দা অনিল বেহেরা, রাজু নায়েক, মধু ঘোড়ইদের বক্তব্য, “এখানে নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার হয় না। ফলে ভ্যাটের আবর্জনা রাস্তায় নেমে আসে। সামনে বাজার রয়েছে। জমে থাকা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। পথচলতি মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়।” অভিযোগ পেয়েই অবশ্য অবশ্য এ দিন নড়েচড়ে বসেন পুর-কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি আবর্জনা সাফাইয়ের ব্যবস্থা হয়। পরে পুর-কর্তৃপক্ষের আশ্বাসেই অবরোধ ওঠে। |