পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও হয়রানির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামল রায়গঞ্জ লোকসভা যুব কংগ্রেস কমিটি। বুধবার বেলা ১১টা থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা সংগঠনের সদস্যরা কর্ণজোড়ায় জেলা পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ সুপার সরকারি কাজে ইসলামপুরে যাওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ঘেরাও করা হয়। তাঁর মাধ্যমে পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। আগামী এক সপ্তাহের পুলিশ আইন মোতাবেক কাজ না করলে পুলিশ সুপারের দফতর অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছে যুব কংগ্রেস। গত সপ্তাহে রায়গঞ্জ হাসপাতালে এক প্রসূতিকে বারবার ‘রেফার’ করার অভিযোগ নিয়ে আন্দোলনে নামে যুব কংগ্রেস। হাসপাতালে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলার সময় সেখানে তৃণমূল কাউন্সিলর তথা মহিলা কমিশনের সদস্য কেয়া চৌধুরী অনুগামীদের নিয়ে যান। দুই পক্ষের গোলমাল হয়। দুই তরফে মামলার পর পুলিশ তৃণমূলের চাপে তিন জন যুব কংগ্রেসের নেতাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেন। আর ওই তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ তাঁর অনুগামীদের নামে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। তার পরেই কংগ্রেসীদের ধরতে বাড়িতে পুলিশ গিয়ে হয়রান করছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেভিড ইভান লেপচা বলেন, “পুলিশ সরকারি নিয়ম অনুযায়ীই কাজ করছে। যুব কংগ্রেসের অভিযোগ অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।” পুলিশ সূত্রের খবর, কেয়াদেবী মহিলা কমিশনের সদস্য। হাসপাতালে ওঁর কাজে বাধা দেওয়ায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। আর তৃণমূলের দাবি, পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করে মামলা প্রত্যাহারের জন্যই যুব কংগ্রেস আন্দোলনে নেমেছে। যুব কংগ্রেসের অভিযোগ, গত সাত মাসে রায়গঞ্জ থানা এলাকায় নয়টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কয়েকজন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও এখনও একাধিক অভিযুক্ত অধরা রয়ে গিয়েছে। একটিরও চার্জশিট আদালতে পেশ করা সম্ভব হয়নি। প্রতিদিন চুরি ছিনতাই-র ঘটনা বাড়ছে। রায়গঞ্জ লোকসভা যুব কংগ্রেস কমিটির সভাপতি মানসকুমার ঘোষ বলেন, “পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় অপরাধের ঘটনা বাড়ছে। পুলিশের একাংশ পক্ষপাতিত্ব করছেন। কংগ্রেসীদের মিথ্যা মামলায় হয়রান করা হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ যুব কংগ্রেস নেতাদের ওপর থেকে জামিন অযোগ্য ধারা প্রত্যাহার এবং আইন মেনে স্বাভাবিক কাজ না করলে জেলা পুলিশ সুপারের দফতর অনির্দিষ্ট কালের জন্য ঘেরাও করে রাখা হবে।” |