নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
যাত্রীদের তৎপরতায় বড় মাপের আগুন লাগার ঘটনার হাত থেকে বাঁচল আপ দার্জিলিং মেল। সোমবার রাত ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান স্টেশনের অদূরে। রেল সূত্রের খবর, ওই দিন এনজেপি গামী ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশন ছাড়ার মিনিট দশেক পরে প্রথম শ্রেণির বাতানুকূল কামরার কয়েকজন যাত্রী শৌচাগারের কাছে গিয়ে পোড়া গন্ধ পান। কৌতুহলী হয়ে তাঁরা পাশের বি-৭ কামরার সংযোগস্থলে তাকালে দেখতে পান চাকা লাগোয়া এলাকায় আগুন ধরে ধোঁয়া বার হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীরা টিকিট পরীক্ষককে জানিয়ে ‘চেন’ টানলে ট্রেন থেমে যায়। তাতে যাত্রীদের একাংশ আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও রেলকর্মীরা তাঁদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। রেলকর্মীরা খবর পাঠান বর্ধমান স্টেশনে। জরুরি ভিত্তিতে রেলের ‘টিম’ গিয়ে আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কয়েকজন টিকিট পরীক্ষক জানান, যাত্রীদের চোখে পড়ায় আগুন কোনও ভয়াবহ আকারা নেওয়ার আগেই পরিস্থিতি আয়ত্তে এসে যায়। সে জন্য ট্রেনটি গন্তব্য এনজেপিতে পৌঁছতে নির্দিষ্ট সময়ের থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা দেরি হয়। রেল সূত্রের খবর, ব্রেকের কোনও অংশে আগুন লেগে গিয়েছিল। কী কারণে এমন হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে রেলের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ট্রেনের বাতানুকূল প্রথম শ্রেণির যাত্রী ছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি প্রবীর রায়। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “তখন বর্ধমান স্টেশন সবে ছেড়েছে। ১০-১২ মিনিটের মাথায় শৌচাগারের কাছে কিছু পুড়ে যাওয়ার গন্ধ নাকে আসে। পাশের বি-৭ কামরার সংযোগস্থলে উঁকি মেরে দেখি চাকার কাছে লাল হয়ে রয়েছে। আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে টিকিট পরীক্ষককে জানানো হয়। চেন টেনে ট্রেন থামানো হয়। যাত্রীরা অনেকে আতঙ্কিত হলেও রেলকর্মীদের তৎপরতায় দ্রুত অবস্থায় আয়ত্বে আসে। এই বিষয়ে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুব্রত হাজং বলেন, “ঘটনাটি পূর্ব রেলের অধীন এলাকায় ঘটে। সেখান থেকেই বিশদ খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” |