পরীক্ষা ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিএ পার্ট-২ চতুর্থ পত্রের। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রশ্নপত্র বিলিও শুরু হয়ে যায়। কিছু প্রশ্নপত্র বিলির পর দেখা যায়, বিষয় এক। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চতুর্থ পত্রের বদলে বিলি হয়েছে ষষ্ঠ পত্রের প্রশ্ন। ১০০টি প্রশ্নের মধ্যে পাওয়া যায় ১৬টি ওই ধরণের প্রশ্ন। বুধবার ফালাকাটা কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে। এর পরেই কলেজের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ষষ্ঠ পত্রের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। আগামী ৪ মে ওই পরীক্ষার হওয়ার কথা ছিল। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সুশান্ত দাস বলেন, “ফালাকাটা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চতুর্থ পেপারের পরীক্ষার সময় ষষ্ঠ পেপারের প্রশ্ন বিলি হয়ে যায় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বুধবার চতুর্থ পেপারের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে ষষ্ঠ পেপারের প্রশ্ন চলে যাওয়াতেই বিপত্তি ঘটেছে। আগামী ৪ মে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ষষ্ঠ পেপারের পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন পরীক্ষার দিন পরে ঘোষণা করা হবে।” কলেজ সূত্রের খবর, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই প্যাকেটবন্দি করে পরীক্ষার প্রশ্ন কলেজগুলিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষার শুরুর আগে তা কলেজে খোলা হয়। প্যাকেটের উপর পরীক্ষার তারিখ এবং বিষয় লেখা থাকে। এদিন ফালাকাটা কলেজে প্যাকেটের উপর সবই ঠিকঠাক লেখা ছিল। ১০০টি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পার্ট-২ চতুর্থ পত্রের প্রশ্ন পাঠানো হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে ১৬টি ষষ্ঠপত্রের প্রশ্ন রয়েছে। যা বিলিও করে দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। কয়েকজন পরীক্ষার্থী প্রথমে ঘাবড়ে যান। তাঁদের কয়েকজন শিক্ষকদের বিষয়টি জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও কর্মীর গাফিলতির জেরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। ফালাকাটা কলেজের অধ্যক্ষ হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “কলেজের কোনও ত্রুটি নেই। সব কিছুই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। পরে ষষ্ঠ পত্রের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।” ফালাকাটা কলেজের কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, যাঁরা ঠিক প্রশ্ন পেয়েছিল তা উত্তর লেখা শুরু করে দেন। ১৬ জনের কয়েকজন ভুল রুটিন দেখে পরীক্ষা দিতে এসেছেন কী না তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। জানাজানি হওয়ার পর কয়েকজন ওই প্রশ্ন আর ফেরত দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এসএফআই নেতা উত্তম কুণ্ডু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জন্য চরম গাফিলতির জন্য ছাত্রছাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হল। দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।” |