নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
বাড়িতে ফেরার পথে ভরদুপুরে ধারাল অস্ত্রের কোপে খুন হলেন এক যুবক। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জংশনের রেল কলোনি এলাকায়। ওই ঘটনায় রেল কলোনি এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম অমিত রায় (২৪)। বাড়িতে অমিতের বাবা-মা এবং এক দাদা রয়েছে। বাবা পেশায় রিকশা চালক। মা অন্যের বাড়িতে রান্না করেন। কয়েকদিন আগেই ওই যুবক ও তাঁর দাদা রেলের গ্যাংম্যান পদের পরীক্ষায় পাশ করেন। শীঘ্রই তাঁর চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কে, বা কারা ওই যুবককে খুন করল তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের সন্ধানে পুলিশের অমিতের কয়েকজন বন্ধুকে জেরা শুরু করেছে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল বলেন, “নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরা হবে।” এই ঘটনার পরে ওই এলাকাতেই বুধবার সকাল নয়টা নাগাদ এক মহিলা তার শিশুকে স্কুল বাসে তুলে গেলে দুজন মোটর বাইক আরোহী গলা থেকে সোনার হার নিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশ ছিনতাইয়ের ঘটনারও তদন্তে নেমেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওইদিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বন্ধুদের সঙ্গে অমিত দমনপুর হাটে যায়। সেখানে হাড়িয়া খাওয়ার পরে বেলা সাড়ে ৩ টে নাগাদ অরবিন্দনগর গোলপার্ক এলাকায় গিয়ে ফুচকা খায়। এর পরে বাড়িতে ফিরছিল। দলের কয়েকজন বন্ধু কিছুক্ষণ পরে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে রাস্তায় অমিতের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অমিতের দাদা অসীম রায় বলেন, “শীঘ্রই আমাদের রেলের চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কে বা করা কেনই বা ভাইকে খুন করল সেটা বুঝতে পারছি না।” অমিতের বন্ধু অবিনাশ মিনজ বলেন, “অমিত বাড়ি যাবে বলে একা রেলের কমিউনিটি হলের পাশের রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে অন্য রাস্তা দিয়ে ওই এলাকায় পৌঁছে দেখি কমিউনিটি হলের পেছনের মোড়ে অমিতের সাইকেল রাস্তায় পড়ে আছে। কিছু দূরে রেল কোয়ার্টারের সামনে অমিত মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে। তখনও শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। অন্য বন্ধুদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচাতে পারলাম না।” আলিপুরদুয়ার জংশন রেল বাজার ব্যবসায়ী সমণ্বয় সংগ্রাম কমিটির সাধারন সম্পাদক তুষার ঘোষ অভিযোগ করেন, “আলিপুরদুয়ারে অপরাধ বেড়ে চলছে। দিনদুপুরে যুবক খুনের ঘটনার পরে জংশন রেল কলোনি-সহ চেচাখাতা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।” |