পুরপ্রধান ও এক কাউন্সিলারকে অফিসে আটকে রেখে নিগ্রহ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে বুধবার সকালে সিপিএমের এক লোকাল কমিটির সম্পাদককে গ্রেফতার করল সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন সিপিএমের এক দলীয় কর্মীও। ধৃত নেতার নাম মহম্মদ আজাদ আলি। অভিযুক্ত দলীয় কর্মী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩২৩, ৩৫৪, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এ দিন জঙ্গিপুর আদালত থেকে জামিনে মুক্তিও পান তাঁরা। সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চৌধুরী জানান, ধুলিয়ান-১ ওয়ার্ডের পুর কাউন্সিলার মাসুমা বেগমের আনা অভিযোগের ভিত্তিতেই এদের গ্রেফতার করা হয়। মারধর, শ্লীলতাহানি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। তবে সবগুলিই জামিনযোগ্য হওয়ায় জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য ফৌজদারি বিচারক সঞ্জীব দারুকা তাঁদের ৫০০ টাকার জামিনে মুক্তি দিয়েছেন।”
সোমবার ধুলিয়ানের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকারা দুমাস ধরে বন্ধ থাকা বেতনের দাবিতে পুরসভায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন। পুরপ্রধান মেহেবুব আলিকে আটকেও রাখেন। সম্প্রতি পুরসভা নির্দেশ জারি করেছে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে নতুন করে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র খুলে সহায়িকা নিয়োগ করতে হবে। ফলে চাকরি যাওয়ার আশঙ্কায় সহায়িকারা ঘেরাও করেন পুরপ্রধানকে।
পুরপ্রধান বলেন, “সিপিএম অনেক সহায়িকাকেই নিয়ম ভেঙে নিয়োগ করেছে। পুরবোর্ড সবটা খতিয়ে দেখছে একথা তাঁদের বোঝানো সত্ত্বেও সিটুর মদতে তাঁরা আমাকে ঘেরাও করেন। সহায়িকাদের সামনে রেখে সিপিএমের তিন নেতা মারধর-সহ শ্লীলতাহানি করেন। রাতে অভিযোগ করা হয়।” অভিযুক্ত মহম্মদ আজাদ আলি বলেন, “আগেও সহায়িকারা বেতনের কথা জানাতে গিয়েছিলেন। পুরপ্রধান তাঁদের সঙ্গে দেখাই করেননি। বাধ্য হয়ে ঘেরাও করেন তাঁরা। কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি।” এরই জেরে বুধবার দফায় দফায় বামফ্রন্ট ধুলিয়ানে মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সিপিএম নেতা এ প্রাক্তন পুরপ্রধান সুন্দর ঘোষ বলেন, “অভিযোগ যে মিথ্যে আদালত থেকে পাওয়া জামিনই তার প্রমাণ।” |