|
|
|
|
দেহ সৎকারে বাধা, বিক্ষোভ গ্রামবাসীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
মোটর সাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। চার দিন পরে হাসপাতাল থেকে তাঁর মৃতদেহ গ্রামে এসে পৌঁছলে ‘দোষী’ মোটর সাইকেল আরোহীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। দেহ-সৎকারও করতে দেননি বিক্ষুব্ধেরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে আটকে রাখা হয় তাদেরও। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল চলে বেলদা থানা এলাকার জানাবাড় ও পুঁয়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে জানাবাড় গ্রামে জাহালদা-গড়হরিপুর রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এক পরিচিতের সঙ্গে কথা বলছিলেন পুঁয়া গ্রামের পরেশচন্দ্র মহাপাত্র (৫২)। সেই সময়ে দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরবাইক তাঁকে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় পরেশবাবুকে প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার বিকালে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। জখম হয়েছিলেন বাইক আরোহী দুই যুবকও। তাঁরা পাশের ব্রাহ্মণখলিসা গ্রামের বলে দাবি এলাকাবাসীর। যদিও তাঁদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি তাঁরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পুঁয়া গ্রামে পরেশবাবুর দেহ এসে পৌঁছলে ওই দুই অজ্ঞাতপরিচয় বাইক আরোহীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। আশপাশের গ্রামের হাজার পাঁচেক লোক জড়ো হন সেখানে। তাঁদের অভিযোগ, মোটর সাইকেল আরোহীদের দাপট বাড়ছে এলাকায়। দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল চলার ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। চুরি-ছিনতাই-সমাজবিরোধী কার্যকলাপও বাড়ছে দিন দিন। ওই দুই বাইক আরোহীকে গ্রেফতার ও মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ছাড়াও এলাকায় কড়া পুলিশি নজরদারির দাবি জানান গ্রামবাসী। মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পুলিশ এলে তাদেরও আটকে রাখা হয়। বুধবার ভোরে ভিড় কমার ফাঁকে পুলিশি তৎপরতায় মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী এসে ফের দেহ সৎকারে বাধা দেন। অবশেষে বেলদা থানার ওসি ও জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির আইসি ঘটনাস্থলে এসে দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে ঘেরাও ওঠে। সৎকার হয় মৃতদেহের। |
|
|
|
|
|