গড়বেতা বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়নে প্রকল্প জমা সুশান্তর
শ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৯ জন বিধায়কের মধ্যে ১৮ জনই এলাকা-উন্নয়ন তহবিলের অর্থে কাজের জন্য আগেই প্রকল্প জমা দিয়েছিলেন। সব দিক খতিয়ে দেখে সে-সব প্রকল্পের কাজ শুরুও হয়েছে। জেলার মাত্র এক জন বিধায়কই এত দিন প্রকল্প জমা দেননি। রাজ্যে পালাবদলের ঠিক এক বছরের মাথায় জেলা প্রশাসনের কাছে তাঁর প্রকল্প জমা পড়ল। তিনি গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার জেলা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দফতরে গড়বেতার বিধায়কের প্রকল্প জমা পড়েছে। এক চিঠিতে সুশান্তবাবু জানিয়েছেন, তাঁর বিধায়ক তহবিলের অর্থ থেকে গড়বেতা বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়ন করা হোক। ওই সূত্রে খবর, বিধায়কের অনুমতি মেলায় এ বার বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়নে কী কী করা প্রয়োজন, তার একটি খসড়া প্রকল্প তৈরি করা হবে। পরবর্তীকালে সেই মতো কাজ হবে। গড়বেতা পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি আদিত্য সাহা বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগেই বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়েছিল। বিধায়কের সাহায্য পেলে এ বার ঢালাইয়ের কাজ হবে।”
গত বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো ‘লালদুর্গে’ও পরিবর্তনের হাওয়া ঢুকে পড়েছিল। ধস নামে সিপিএমের ভোট-ব্যাঙ্কে। গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম, শালবনি, ঘাটালের মতো এলাকা সিপিএমের হাতছাড়া হয়। কিন্তু, ওই পরিস্থিতিতেও গড়বেতার ‘গড়’ সামলে রাখেন সুশান্তবাবু। তবে ভোটের কিছু দিন পর থেকেই তিনি এলাকা ছাড়া হন। জুনের গোড়ায় তাঁর আদি বাড়ি বেনাচাপড়া সংলগ্ন দাসেরবাঁধ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। ঘটনার সঙ্গে ন’বছর আগের এক ‘গণহত্যা’র প্রসঙ্গ জুড়ে যায়। এই কঙ্কাল-কাণ্ডেই অভিযুক্ত হন প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। দীর্ঘ দিন আত্মগোপন করেছিলেন। পরে ধরা পড়েন। গত বছরের অগস্ট থেকে এ বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কখনও কেটেছে সিআইডি হেফাজতে, কখনও জেলে। ফেব্রুয়ারির গোড়ায় সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে শর্তাধীন জামিন দেয়। আদালতের শর্তে বিধায়ক নিজের নির্বাচনী এলাকা ছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যত্র যেতে পারেন না। জামিন পাওয়ার পরে অবশ্য গড়বেতায় আসারও ‘ঝুঁকি’ নেননি বিধায়ক। এর ফলে স্থানীয় মানুষকে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই অভিযোগ করছিলেন জেলা কংগ্রেস নেত্রী এবং গত বছর নির্বাচনে সুশান্তবাবুর কাছেই পরাজিত হেমা চৌবে। এমনকী সুশান্তবাবুর ইস্তফার দাবিও তুলেছিলেন হেমাদেবী। অবশেষে বিধায়ক সুশান্তবাবু তাঁর নির্বাচনী এলাকার জন্য বিধায়ক-উন্নয়ন তহবিলের অর্থে কাজের জন্য প্রকল্প জমা দিলেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বিধায়কেরা এখন বছরে ৬০ লক্ষ টাকা পান। সেই মতো পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৯ জন বিধায়কের জন্য ১১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচও হয়েছে ইতিমধ্যে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.