নিজস্ব সংবাদদাতা • দাদপুর |
শ্বাসরোধ করে খুন করা হল পঁচাত্তর বছরের এক বৃদ্ধাকে। পুলিশ জানায়, কাত্যায়ণী দে নামে দাদপুরের সাটিথান পঞ্চায়েতের হাউর গ্রামের ওই মহিলা বাড়িতে একাই থাকতেন। বাড়ি থেকে কিছু টাকা এবং বৃদ্ধার একটি হার, আংটি খোওয়া গিয়েছে বলে দাবি জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। বুধবার সকালে দেহ উউদ্ধারে পরে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তের জন্য। হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অশেষ বিশ্বাস বলেন, “মৃতার ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কী কারণে, কারা ওই বৃদ্ধাকে খুন করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্পত্তি-সংক্রান্ত কোনও কারণে খুন করা হয়ে থাকতে পারে কাত্যায়ণীদেবীকে। |
পাঠানো হচ্ছে দেহ। ছবি: তাপস ঘোষ। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাত্যায়ণীদেবীর তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। একমাত্র ছেলে শ্যামলকুমার দে থাকেন শ্যাওড়াফুলিতে। তিনি বৈদ্যবাটির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী। হাউর গ্রামের বাড়িতে একাই থাকতেন বৃদ্ধা। বিশাল জমি-জায়গা দেখভালের জন্য এক কর্মী আছেন। তিনি সারা দিন কাজের পরে রাতে কাত্যায়ণীর খাওয়া-দাওয়া হয়ে গেলে সস্ত্রীক বাড়ি ফিরে যেতেন। এ দিন সকালে অবশ্য কাজে আসেননি তিনি। কোনও খোঁজও মেলেনি ওই ব্যক্তির।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, প্রতি দিনই ভোরে ওঠেন কাত্যায়ণী। বুধবার অনেক বেলা পর্যন্তও তাঁকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয়। কয়েক জন পাঁচিল টপকে ভিতরে গিয়ে দেখেন, খাটের উপরে নিথর দেহ পড়ে ওই বৃদ্ধার। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। তাঁর গলায় কাপড় পেঁচানো ছিল। মুখ বাঁধা ছিল পরনের কাপড় দিয়েই। পরে শ্যামলবাবু দাদপুর থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতার বড় জামাই দেবনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, বাড়িতে হাজার খানেক নগদ টাকা ছিল। তা উধাও। শাশুড়ির একটি সোনার হার ও আংটিও খোওয়া গিয়েছে হাসপাতালে । |